Coca cola
Wellknown Ace
[এটি একটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ গল্প বা উপন্যাস হবে। আমি এখানে পর্বে পর্বে পরিবেশন করবো আগামী কিছুদিন ধরে। আগ্রহী পাঠকেরা অনুগ্রহ করে একটু ধৈর্য্য ধরে থাকবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামত দিতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ। ]
উর্মির সাথে আমার আলাপ হয় সল্ট লেকের একটা লাইব্রেরি তে। দুপুরের শেষ দিক করে অফিস শেষ করে ভাবলাম পাড়ার লাইব্রেরি তে একবার ঢুঁ মেরে যাবো। শীর্ষেন্দুর চক্র তা কিছুদিন হলো বই হিসেবে বেরিয়েছে, যখন নিয়মিত দেশে বেরোতো তখন আমার সেভাবে পড়া হয়নি। আজকাল অফিসের কাজের চাপে বই পড়ার সময় পাওয়া যাই না। কালকে লাইব্রেরি তে ফোন করে জেনেছিলাম যে ওদের ব্রাঞ্চে একটা নতুন কপি এসেছে।
এই লাইব্রেরি তে বেশিরভাগ ফিক্শন এর বই আলফাবেটিক্যাল অর্ডার এ সাজানো থাকে। সেই হিসেবে "শ" দিয়ে যেসব লেখকের নাম শুরু, তাদের বইয়ের জায়গা হচ্ছে ডান দিকের তাকের পেছনের দিকে। দুপুরের শেষ দিকে লাইব্রেরি তে সেরকম লোক ছিল না। লাইব্রেরিয়ান একজন বয়স্ক ভদ্রলোক, নিজের ডেস্ক এ বসে ঢুলছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই ভদ্রলোক আমাকে চিনে গেছেন। আমাকে দেখে বললেন, "আপনি তো কালকে ফোন করেছিলেন শীর্ষেন্দুর চক্রর ব্যাপারে, তাই না?" . আমি মাথা নাড়তেই উনি বললেন, "নতুন বইয়ের জন্য একটা আলাদা তাকে করা হয়েছে বাঁ দিকে, দেখুন ওখানেই পাবেন।" আমি বাঁ দিকের তাকের পেছনে গিয়ে দেখি একটি সালোয়ার কামিজ পরিহিতা তরুণী তাকের প্রায় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বই দেখছেন। আমি মেয়েটিকে দেখে বইয়ের কথা ভুলে গেলাম। বয়স অনুমান করেও পারলাম না, আঠেরো হরে পারে, আঠাশ তো হাতে পারে। মনে হলো, এই খানেই দাঁড়িয়ে থাকি, আর তাকিয়ে থাকি। নায়িকা যখন সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন আর বই পাড়ার দরকার কি?
প্রায় বিশ পঁচিশ সেকেন্ডস একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি দেখে তরুণীর খেয়াল হলো। আমার দিকে তাকিয়ে একটু সরে গেলেন তাকের গা থেকে, তারপর বললেন "সরি, আমি জায়গাটা প্রায় দখল করে ফেলেছি। ". তারপরেও আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি দেখে তরুণীর ভুরু কুঁচকে গেল, "কি ব্যাপার বলুন তো? আমার দিকে এরকম অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কি সিনেমার নায়িকা নাকি?". তরুণীর গলায় স্পষ্টত বিরক্তির ছাপ। আমি অবশ্য বিব্রত হলাম না, একটু হেসে বললাম, "সিনেমার নায়িকারাও হয়তো আপনাকে দেখলে এইরকমই তাকিয়ে থাকতেন". আমার কথায় রাগতে গিয়েও তরুণী হেসে ফেললেন, "অচেনা মেয়েদের সাথে দেখা হলেই কি ফ্ল্যার্ট করা শুরু করেন? একটু আলাপ পরিচয়ের সুযোগ তো দিতে হবে?" . আমি বললাম "আলাপ তো অনেক ভাবেই হয়, এই তো আপনার সাথে আলাপ হয়ে গেল, আমার নাম দীপ্যমান ব্যানার্জী" . আমি কাছেই থাকি, আপনি?". বলে হাত তা বাড়িয়ে দিলাম করমর্দন এর জন্য। তরুণী কয়েক সেকেন্ডস আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন, মনে হলো অচেনা লোকের সাথে এতো সহজে হাত মেলাবেন কি না সেই নিয়ে মানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তারপর হাত বাড়িয়ে আমার হাতটা ধরে বললেন, "আমি উর্মি বসু। আমিও কাছেই থাকি" বলে হাতটা ছেড়ে দিলেন।
[চলবে]
উর্মির সাথে আমার আলাপ হয় সল্ট লেকের একটা লাইব্রেরি তে। দুপুরের শেষ দিক করে অফিস শেষ করে ভাবলাম পাড়ার লাইব্রেরি তে একবার ঢুঁ মেরে যাবো। শীর্ষেন্দুর চক্র তা কিছুদিন হলো বই হিসেবে বেরিয়েছে, যখন নিয়মিত দেশে বেরোতো তখন আমার সেভাবে পড়া হয়নি। আজকাল অফিসের কাজের চাপে বই পড়ার সময় পাওয়া যাই না। কালকে লাইব্রেরি তে ফোন করে জেনেছিলাম যে ওদের ব্রাঞ্চে একটা নতুন কপি এসেছে।
এই লাইব্রেরি তে বেশিরভাগ ফিক্শন এর বই আলফাবেটিক্যাল অর্ডার এ সাজানো থাকে। সেই হিসেবে "শ" দিয়ে যেসব লেখকের নাম শুরু, তাদের বইয়ের জায়গা হচ্ছে ডান দিকের তাকের পেছনের দিকে। দুপুরের শেষ দিকে লাইব্রেরি তে সেরকম লোক ছিল না। লাইব্রেরিয়ান একজন বয়স্ক ভদ্রলোক, নিজের ডেস্ক এ বসে ঢুলছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই ভদ্রলোক আমাকে চিনে গেছেন। আমাকে দেখে বললেন, "আপনি তো কালকে ফোন করেছিলেন শীর্ষেন্দুর চক্রর ব্যাপারে, তাই না?" . আমি মাথা নাড়তেই উনি বললেন, "নতুন বইয়ের জন্য একটা আলাদা তাকে করা হয়েছে বাঁ দিকে, দেখুন ওখানেই পাবেন।" আমি বাঁ দিকের তাকের পেছনে গিয়ে দেখি একটি সালোয়ার কামিজ পরিহিতা তরুণী তাকের প্রায় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বই দেখছেন। আমি মেয়েটিকে দেখে বইয়ের কথা ভুলে গেলাম। বয়স অনুমান করেও পারলাম না, আঠেরো হরে পারে, আঠাশ তো হাতে পারে। মনে হলো, এই খানেই দাঁড়িয়ে থাকি, আর তাকিয়ে থাকি। নায়িকা যখন সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন আর বই পাড়ার দরকার কি?
প্রায় বিশ পঁচিশ সেকেন্ডস একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি দেখে তরুণীর খেয়াল হলো। আমার দিকে তাকিয়ে একটু সরে গেলেন তাকের গা থেকে, তারপর বললেন "সরি, আমি জায়গাটা প্রায় দখল করে ফেলেছি। ". তারপরেও আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি দেখে তরুণীর ভুরু কুঁচকে গেল, "কি ব্যাপার বলুন তো? আমার দিকে এরকম অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কি সিনেমার নায়িকা নাকি?". তরুণীর গলায় স্পষ্টত বিরক্তির ছাপ। আমি অবশ্য বিব্রত হলাম না, একটু হেসে বললাম, "সিনেমার নায়িকারাও হয়তো আপনাকে দেখলে এইরকমই তাকিয়ে থাকতেন". আমার কথায় রাগতে গিয়েও তরুণী হেসে ফেললেন, "অচেনা মেয়েদের সাথে দেখা হলেই কি ফ্ল্যার্ট করা শুরু করেন? একটু আলাপ পরিচয়ের সুযোগ তো দিতে হবে?" . আমি বললাম "আলাপ তো অনেক ভাবেই হয়, এই তো আপনার সাথে আলাপ হয়ে গেল, আমার নাম দীপ্যমান ব্যানার্জী" . আমি কাছেই থাকি, আপনি?". বলে হাত তা বাড়িয়ে দিলাম করমর্দন এর জন্য। তরুণী কয়েক সেকেন্ডস আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন, মনে হলো অচেনা লোকের সাথে এতো সহজে হাত মেলাবেন কি না সেই নিয়ে মানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তারপর হাত বাড়িয়ে আমার হাতটা ধরে বললেন, "আমি উর্মি বসু। আমিও কাছেই থাকি" বলে হাতটা ছেড়ে দিলেন।
[চলবে]
Last edited: