বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে সকল চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে এর কোনও মিল থাকলে তা সম্পূর্ণ CUCKতালীয়। ক্রিঞ্জ কন্টেন্ট এ ভরপুর, এখানে ফ্রিতে ক্রিঞ্জ খাওয়ানো হয়।
ভোর ৪টে। হালকা শীত শীত পড়ছে। সারাদিন শীত না থাকলেও ভোরবেলা বেশ শীত পড়েই।
ধুতির নিচে নিজের থার্মোমিটারটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঘোতু। এই থার্মোমিটারের মাধ্যমেই সে তাপমাত্রা মেপে থাকে। থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য তাপমাত্রার ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ তাপমাত্রা যত বাড়তে থাকবে, থার্মোমিটারটা দৈর্ঘ্যে কমতে থাকবে। যদিও থার্মোমিটারটা দৈর্ঘ্যে খুব বেশি একটা বড় বলে কেউ তাকে কখনও বাহবা দেয় নি। তবুও সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ খুঁজে নিতে ঘোতু পারদর্শী। নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড আশাবাদী সে।
নিজের থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য কম বলে পুঙ্খানুপুঙ্খ তাপমাত্রিক হিসাব নির্ণয় ঘোতুর পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও দুটি কাঠলিচু আকৃতির বিচির মাঝে একটি শুকনা খুরমার মত উচু হয়ে থাকা নুঙ্কু অর্থাৎ থার্মোমিটার দেখে শীত এর তীব্রতার জানান পেল সে। খানিকখন বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি করল। উঠতে ইচ্ছে করছে না। পাশবালিশটাকে জড়িয়ে ধরবে বলে ভাবলো। দেখলো পাশবালিশের মাঝখানটা চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। হবে নাই বা কেন। কোমড়ের জোড় গত কয়েক বছর ধরে এর উপর দিয়েই তো চালিয়ে নিচ্ছে। নাহ আর শুয়ে থাকা যাবে না। দ্রুত বিছানা ছাড়তে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। অগত্যা ধুতিখানা কোমড়ের কাছে জড়সরো করে ধরে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। ধুতিটা ঠিকঠাক করে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজার দিকে যাচ্ছিল ঘোতু। কি মনে হতে আবার ফিরে এলো। গায়ে বেশ করে একটা শার্ট চাপিয়ে নিল। অনেক দিন কাঁচা হয় নি বলে শার্টের বগলের দিকটা হলদে হয়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় ঘামের কালসিটে ধাপ্পা দাগ পড়েছে। যাই হোক, এই অন্ধকারে এইটা কেই বা দেখবে। এখন এক বৌদির সাথে ঘোতুর মোলাকাতের পরিকল্পনা আছে। এই ভোর ভোরে বৌদি স্নান করতে যায়, সে লোকমুখে শুনেছে। আজ সে এই স্নান করা দেখেই থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য আবার ঠিক করবে ঘোতু। গায়ে কাপড় চরানোর অন্য একটা কারণ অবশ্য আছে তাঁর। কিন্তু সেটা খুবই গোপন খবর। কাউকে বলা যাবে না।
পথে হাটতে হাটতে নিজের কথা ভাবতে ভাবতে হেটে চলল ঘোতু। ছেলেবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর। নুঙ্কু খেচার শুরু তার অনেক কাঁচা বয়স থেকেই। তখন তো আর আজকের মত পানু ফানু ছিল না। কারও সাথে প্রেমটাও সেভাবে হয়ে ওঠে নি। তাই নিজের নুঙ্কু খেচা ছাড়া ঘোতুর হাতে আর কোনও উপায় ছিল না। একদিন ঘোতু ছোট বেলায় গ্রামের বাজারের টং দোকানে বসে বসে চা খাবে ভাবছে। তখন ঘতু সবে নিজের বাঁড়ায় কিছু তেজ অনুভব করছে। কিন্তু কারও সাথেই এই নতুন অনুভূতি নিয়ে সে কোনও আলোচনা করতে পারছে না। বাজারে এসে দেখলো কাঁচা পেপে আছে। পেপের দোকানদারের সাথে তার বেশ ভাল সম্পর্ক। অন্তত সে তাই মনে করে। অনেক কাকুতি মিনতি করে সে পেপেওয়ালার কাছ থেকে একটা পেপে নিল। বলল পুরোটা লাগবে না। একটা লম্বা ফালি তাকে কেটে দিতে, সে লঙ্কাগুড়ো আর লবণ দিয়ে খাবে। নিমরাজী হয়ে বিক্রেতা তার হাতে একফালী পেপে তুলে দিল। খুশিতে ঘোতুর চেহারায় একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল। কাঁচা পেপে খেতে খেতে সে ভাবল, ফলই ভাল। সবকিছুতেই ভাল ফল হবে। নিজের মনে ফলের প্রতি অন্যরকম ভালবাসা অনুভব করতে পেরে সে সিদ্ধান্ত নিল, জীবিকার পন্থা হিসেবে সে কোনও না কোনও ভাবে ফলের সাথেই সংযুক্ত হবে।
এই ভাবতে ভাবতে দেখলো একটি মুদির দোকানের সামনে একটা মেয়ে এসেছে। মেয়েটাকে দেখে ও অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু পাত্তা পায় নি। মেয়েটা মুদির দোকানীকে বলল, “দাদা একটা পচা সাবান দিন তো।“
কথাটা শুনেই ঘোতু চোখ তুলে তাকালো মেয়েটির দিকে। আটপৌরে সারি পড়া, না আচরানো রুক্ষ্ম চুলের একটি মেয়ে। সবে তারুন্যে পা দিয়েছে। মেয়েটা সাবান কিনতে এসেছে এই দুপুরবেলা। কি করবে মেয়েটা সাবান দিয়ে? নিশ্চয়ই স্নানে যাবে? ভাবতেই দেখলো তার কাঠলিচু মার্কা বিচিতে হালকা একটা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। নিজের বুকের ধুকপুকানী সে নিজের কানে শুনতে পাচ্ছে। জিভটা হালকা বের করে নিজের নিচের ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিল।
মেয়েটা হেটে চলেছে নিজের বাড়ির দিকে। দুরুদুর পায়ে তাকে পিছা করে চলেছে কাঁচা বয়সে সেক্স ফিল করা ঘোতু। মনে মনে ভাবছে, আজ কিছু একটা হতে চলেছে। মেয়েটাকে ফলো করে যেতে যেতে তার সেক্স কিছুটা কমে গেছিল যদিও। কিন্তু একটা ঘাটলা পুকুর চিন্তা করতেই আবার দ্রুত পা চালালো ঘোতু।
এর আগে এমনটা কখনও হয় নি। স্নানঘর শব্দটা নিজের মাথায় আসতেই বাঁড়া নাড়ার আগ্রহ চাগিয়ে উঠছে তাঁর মাথায়। মেয়েটা ইতোমধ্যেই নিজেদের ভিটায় ঢুকেছে। ঘোতু দাঁড়িয়ে থাকল ওদের বাড়ির পুকুরের ঘাটলার কাছে। কিন্তু মেয়েটা তো বাইরে এলো না। অনেকক্ষন পর মেয়েটা বাইরে বেড়িয়ে এলো। ঘোতু দেখল মেয়েটাকে কাছে থেকে। যদিও মেয়ে তবুও নাকের নিচে গোঁফ আছে মেয়েটার। আর সেটা নরম রেশমি লোমের মতও নয় যেটা স্বাভাবিক নারীদের থাকে অনেক ক্ষেত্রে। বেশ মোটা মোটা গোঁফ। দেখে ঘতু একটু দমে গেল। তবুও সাহস করে ডাক দিয়েই বসল একবার ওকে।
“এইযে বিটি, শুনছিস? নাম কি রে তোর?”
“আমার নাম? নবীণা।“ মেয়েটা উত্তর দিল।
গরমে হেটে হেটে মেয়েটার নাকে ঘাম জমেছে। সেটা আবার গোঁফের কষ বেয়ে গড়াচ্ছে। কিন্তু এসবের দিকে ঘোতুর কোনও দৃষ্টি নেই। ঘোতু তাকিয়ে আছে নবীণার হাতের পচা সাবানের প্যাকেটটার দিকে। সে নবীণাকে জিজ্ঞেস করল, “ তোর নাম নবীণা? ভারী সুন্দর নাম রে তোর। খ্যেক খ্যেক। তা আছিস কেমন?”
“জি ভাল। আপনি ভাল?”
প্রশ্নটার জবাব দিতে পারল না ঘোতু। তার শরীরে তখন কামের বান ডেকেছে। একটা মানুষ ভাল থাকে কি করে? শিনশিন করে তার নুঙ্কুটা তাতিয়ে উঠলো। ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুনি বাড়াটা একটু রগড়ে নেয় দু হাতে। না পেরে বামপায়ের উপর ডান পা চেপে ধরে কাঠলিচু সমেত থারমোমিটারটা রগড়ে নিলো নিজের রানের মাঝে।
মেয়েটা বলল, “থাকুন, আমি যাই।“
ঘোতু তখন কিছু শোনার বা জবাব দেবার অবস্থায় নেই। ওর শিরায় তখন রক্তের বদলে বীর্য ছুটে বেরাচ্ছে। লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছে ঘোতু, মেয়েটা হাটতে হাটতে আস্তে আস্তে আবরণটা খুলে ফেলছে। বাম হাতে পুরো আয়তনটা নিয়ে একটু চেপে দেখছে মেয়েটা। এরপর ডানহাতটা সাইডে নিয়ে বৃদ্ধা আর তর্জনীর মাঝে ভাজটা চেপে ধরে উপরের দিকে হালকা জোড়ে টানদিতেই মৃদু চরক শব্দে অর্ধেক বন্ধন আলগা হয়ে গেল। তর্জনিটা ঢুকিয়ে বাকি অংশের ভাজ হয়ে থাকা বন্ধন আঙুলের বাকানো সারাসি শেপের ডগার চাপ দিয়ে আলগা হতে দেখেই ঘোতু অনুভব করল ওর শরীরের হৃদপিন্ড দু ভাগে ভাগ হয়ে একভাগ গলায় চলে এসেছে আর আরেকভাগ গিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিচিতে। দুটো ভাগ একসাথে বিট করার বদলে শিৎকার করছে। এক হাত দিয়ে মেয়েটা আলগোছে গলা গলিয়ে আবরণটা যেই মাত্র সম্পূর্ণ রূপে খুলে ফেলেছে, অনাবৃত শরীরে তখন মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে, মেয়েটা ভাবছে এই আবরণীটা সে রাখবে কোথায়, তখনই ঘোতু সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বলেছিল, “নবীণা, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। গাছেদের ক্ষতি হয়। খ্যেক খ্যেক। তুমি ঐ সাবানের প্যাকেটটা আমায় দাও।“
মেয়েটা সাবানের প্যাকেটটা দিয়ে দিতেই ঘোতু সেটা দুহাতে ধরে নিল। এরপর কোনও কথা না বলে সঙ্গে সঙ্গে উলটো দিকে ঘুরে ছোট ছোট দ্রুত পায়ে হাটা শুরু করল। একটা সুস্থ মেয়ে নাইতে যাচ্ছে, তার সাবানের খোসাটা হাতে ধরে রেখেছে ঘোতু, ব্যাপারটা এতোই উত্তেজক যে ও নিজের দু পা ঠিক মত আলগা করতে পারছে না। মনে হচ্ছে কচি থার্মোমিটারের পারদ এক্ষুনি মাথার বাল্ব ফাটিয়ে ছিটকে বেরিয়ে এসে গলগলিয়ে থার্মোমিটারের গা ভিজিয়ে দেবে। খুব বেশি দূর যাওয়া অবধি ধরে রাখতে পারে নি ঘোতু। সদ্য খোলা সাবানের প্যাকেটটা হাতের মধ্যে মুঠো করে ধরে নাকে মুখে ঘষতে ঘষতে নিজের রানের মাসলে টান অনুভব করতে করতে নিজের বীজ সচেতনভাবে ছেড়ে দিল ঘোতু নিজের জামার ভেতরেই। সেটাও হাটতে হাটতে।
পরম আবেশে সাবানের প্যাকেটটা মুখে পুরে কামড়ে ধরল। টিথিং করতে ইচ্ছে করছে ওর। আস্ত একটা সাবান পেলে এখন কামড়ে খেয়েই ফেলতো। একটা সুস্থ মেয়ে, স্নান করবে এখন। ভাবা যায়? ভাবতেই নিজের সদ্য খালি হওয়া কাঠলিচুতে আবার শিহরণ অনুভব করেছিল ঘোতু।
কালক্ষেপন না করে দ্রুত পা চালিয়ে নিজের বাড়ির দিকে হাটা দিল ঘোতু। এক্ষুনই একটা সাবান দেখে বাঁড়া খিচা চাই ওর। কাঠলিচু থেকে এখনও সব শাস বের করা হয় নি। ও আজ নিজের সব শাস নিঙরে নিতে চায় ওর কচি থার্মোমিটার দিয়ে।
পুরো বিষয়টাই দূর থেকে দেখেছিল রূপঙ্কর। রুপঙ্কর ওদের পাড়ারই এক ছেলে। যদিও ঘোতুর চাইতে বয়সে অনেক ছোট। তবুও যৌন চিন্তায় ওরা একই ধাঁচের। সেটা অবশ্য ঘোতু তখনও জানতো না। আর রুপঙ্কর ব্যাপারটা বুঝে নি যে ঘোতু মূলত সাবানের প্যাকেট হাতে নিয়ে হস্তমৈথুন করছে। সাবানের প্যাকেটটা যখন ঘোতু নিজের নাকে মুখে ঘষছিল এবং রক্তে মালের শিরশিরানি সইতে না পেরে মাড়িতে চুড়ান্ত উত্তেজনা অনুভব করে সেই প্যাকেটটাকেই কামড়ে ধরছিল, তখন রুপঙ্কর ঘোতুর কোমড়ের কাপুনি দেখে ভেবেছে ঘোতুদা হয়তো পাদ দিচ্ছে। আর সেটার গন্ধ সইতে না পেরে সাবানের প্যাকেট মুখে চেপে ধরেছে।
রুপঙ্করের কথাটা মাথায় আসতেই এতো বছর বাদেও খিস্তে উঠলো মনে মনে ঘতু। মালটা সেদিনের দেখা সেই দৃশ্য পুরো পাড়ায় ঢোল পিটিয়ে বলেছে আর ঘোতুর নাম দিয়েছে ‘মুখে চেপে পাদ দেয়’।
সেই থেকে ঘোতুকে পাড়ার সব ছোকড়ারা মুখে চেপে পাদ দেয় বলেই খেতাবী করে চলেছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই দ্রুত পা চালিয়ে একটা তাল গাছের নিচে এসে দাঁড়ালো ঘোতু। এই বেলা এই তালগাছে চড়তে হবে। তালগাছের উপরে উঠলে একটু সামনের একটা স্নান ঘরের চালা নজরে আসে। সেই চালার উপরে আবার একটা টিন নেই। ওটা কি পাড়ার রুপঙ্করের মত পাব্লিক খুলে ফেলেছে না বৌদি নিজেই দমবন্ধভাবটা ঘোচানোর জন্য খুলে ফেলেছে তা জানে না ঘোতু। থাক গিয়ে, অতো ভেবে কাজ নেই। গাছে চড়ে দু হাতে দু পায়ে গাছ আঁকড়ে ধরে রেখে ঘাছের খড়খড়ে কাঠে নিজের থার্মোমিটার ঘষবে ভাবতেই এই শীতেও ঘোতুর নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে লাগল। ওর ঠোট ফেটে রেন্ডির গুদ হয়ে আছে। তবুও দূর থেকে স্নানঘরটা দেখেই গুটখাখোড়দের মত মুখের কষ বেয়ে কামলালা ঝড়াতে লাগলো ঘোতু কাম লালসায়। আজ স্নানঘর আর গাছচোদা পেয়েই নিজের সকল অসুস্থতা সারিয়ে তুলবে সে।
ধুতিটা মালকোচা দিয়ে গাছে চড়তেই দেখলো অলরেডি স্নানশো শুরু হয়ে গেছে। স্নানঘরের ছাদের কৃত্তিম গরীব স্কাইলাইট দিয়ে কোনও আলো যদিও ঢুকছে না। তবে সে দেখতে পাচ্ছে সেখানে একটা কমবয়সী বৌদি বসে আছে। বৌদি তখনও কোনও জামা কাপড় খুলে নি। কিন্তু বাংলা ‘দ’ বর্ণের মত করে বসে আছে নিজের দু পায়ের উপর। একটু পর পর বৌদির শরীরে একটা চাপা দমক কম্পন সে এই দূর থেকেও টের পাচ্ছে। বুঝে নিতে দেরি হল না, বৌদিটা মূলত স্নান নয়, পটি করছে। ভাবতেই ঘোতু অনুভব করল তার থারমোমিটারটা খোরমার আকৃতি ছেড়ে, নলখাগড়ার আকৃতি নিতে শুরু করেছে। প্রচন্ড উত্তেজনায় নিজের কোমড় রগড়ে গাছের শুকনো কাঠে ঘষতে শুরু করল সে। ইস, ভুল হয়ে গেল, ভাবছে মনে মনে ঘোতু। একটা সাবানের প্যাকেট থাকলে আরও ভাল লাগতো।
আচ্ছা, বৌদিটা কেমন আছে? যদি জানা যেত, ভাল লাগত তার খুব। পরে নিজে নিজেই ভাবল, কেমন আর থাকবে? এতো ভোর ভোর করে যে বৌদি পটি করতে এসেছে সেই বৌদি সুস্থই আছে। কারণ পটিই সুস্থতার মাপকাঠি।
“আর আমারটা তাপকাঠি” ভেবে আপন মনেই খ্যেক খ্যেক করে হেসে উঠলো ঘতু। চার হাত পায়ে গাছ আঁকড়ে ধরে নিজের কোমড় দুলিয়ে গাছটাকে মৈথুন করছে আর মনে মনে জপছে, “সুস্থ বৌদি স্নান ঘরে পটি করছে, সুস্থ বৌদি আহহহ… আমি একটা সুস্থ গাছকে করছি। এই গাছের গোড়ায় আমার বীর্জ ফেলে পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রে আমি ভূমিকা রাখব।“ ভাবতে ভাবতে ঘোতু ভাবলো যারা সুস্থ থাকে তারাই এরম পটি করে। চিন্তাটা মাথায় আসতেই আর নিজের তাপকাঠীর বাল্ব বন্ধ রাখতে পারল না ঘোতু। শরীর কাপিয়ে পেট থেকে বড় নিঃশ্বাস ফেলে পারদ ছাড়তে লাগল শুকনো গাছের কাঠে।
এরপর আস্তে আস্তে গাছ বেয়ে নেমে এলো ঘোতু। মনটা একটু খারাপ হল এই ভেবে যে বৌদিটা কেমন আছে সেটাই জানা হল না। জিজ্ঞেস করতে ওর আপত্তি নেই। সবার সাথেই ঘোতুর সম্পর্ক খুব ভাল। যদিও মাঝে মাঝে ওর উপর অনেকেই রেগে যায় তবে সেটা নিতান্তই মজা করে। কিন্তু রাত বিরাতে চেচিয়ে বৌদিকে কেমন আছে, শরীর কেমন জাতীয় প্রশ্ন করতে ওর ঠিক ইচ্ছে করছে না। এরমধ্যে কেবলই কাঠলিচু থেকে শাস ছাড়িয়েছে ও। থাক পরে এসে জিজ্ঞেস করে যাবে। আর জিজ্ঞেস করবার সুযোগ যদি নাই পায়, ঐ হাগনকুঠির দরজায় খড়িমাটি দিয়ে লিখে যাবে, “কেমন আছো তুমি, বৌদি? শরীরটা কেমন?”
জবাব দেবার সুবিধার জন্য দরকার হলে ওখানে এক বক্স চক ও রেখে যাবে। যদি তখন বৌদিটা ওখানে জবাবে লিখে রেখে যায় যে সে সুস্থ আছে, ভাল আছে। তাহলে পরবর্তী এক মাস সে ঐ লেখা দেখেই কাঠিমৈথুন করতে পারবে।
এসব ভাবতে ভাবতেই নিজের বাড়ির দিকে হাটতে থাকে ঘোতু। আজকে বাজার থেকে সার কিনতে হবে। জীবনের একমাত্র স্বপ্নটাই সে পূর্ণ করেছে। সে ভেবেছিল সে ফল নিয়ে থাকবে। সে সত্যিই ফল পেয়েছে। ছাদক্ষেতে সে ড্রাগনের খামার করেছে। ইয়ে… ড্রাগনফল চাষ করেছে। সেগুলোতে আজ উচ্চফলনশীল সার দিতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই হেটে হেটে বাড়ির দিকে চলতে থাকে ঘোতু।
মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল ঘোতুর। সময় ফুরিয়ে এসেছে তার। সে আর বেশিদিন নেই এখানে। আর এইতো কয়েকটা দিন থাকবে। এরপর সে হারিয়ে যাবে এখান থেকে। শুধু ফেলে রেখে যাবে সাধের স্নানঘর, সাবানের খোসা আর ড্রাগনফলের ছোবড়া। সুস্থ থাকুক সব বাড়ির মেয়ে-বৌরা।
দিনের আলো ফুটতেই জামাটা এবার বদলে নিল ঘোতু। বাজারে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে সার এর একটা বস্তা কিনতে হবে। এরপর সেই সারের বস্তা মাথায় করে নিয়ে আসতে হবে নিজের ছাদক্ষেতে। ড্রাগনগুলোকে এই উচ্চফলনশীল সার খাওয়ালেই গাছগুলো সুস্থতার সাথে তরতর করে বড় হবে। ‘সুস্থতা’ শব্দটা মাথায় আসতেই তাপকাঠির শিরশিরানি আবার টের পেলো ঘোতু। বেশ খুশি ওটা আজ। ভোর রাতে একবার পারদ ছেড়েছে। এখন আবার চাইছে। এটা বেশ সুস্থতারই লক্ষণ।
বাইরে বেরোনোর জন্য সাজতে বসল ঘোতু। এমনিতে সে অলসতার জন্য জামা কাপড় নিয়মিত না কাচলেও উপরে ফিটফাট থেকে নিজের ভেতরের গঙ্গার ঘাট অবস্থাটা ভালই গোপন করে রাখে। বয়স চল্লিশ ছাড়িয়েছে অনেক আগে। অন্ডোকোষে যেমন ছাড়া ছাড়া দু একটা বাল থাকে, তেমনি ওর মাথার চাদিতেও দুই একটা চুল ছাড়া বেশ বিশাল একটা টাক। তবে স্টেডিয়ামের গ্যালারির মত মাথার চারপাশে চুল থাকায়, একটা ক্যাপ দিয়ে টাক ঢেকে ও নিজেকে আয়নায় বেশ ইয়াং ই ফিল করে। এখন বাইরে রোদের কারণে বেশ গরম, একটু হাতাকাটা খোলামেলা জামা পড়লে ভাল লাগতো কিন্তু সেটা করা যাবে না। কারণ তাহলে তার বগল আর বুকের কাঁচাপাকা লোমগুলো বেরিয়ে পড়ে তার আসল বয়সের জানান দিয়ে দেবে। মাথার চুলগুলোকে কলপ করে কালো করে রেখে ক্যাপের আড়ালে টাকটা ঢেকে, দাঁড়ি কামিয়ে চকচকে তেলতেলে চেহারা বানিয়ে নিজেকে বেশ ইয়াং প্রমাণ করে সে। সবাই অবশ্য ঘোতু কে ইয়াং হিসেবেই যানে। আর সবাই বেশ পছন্দ ও করে ঘোতুকে। মূলত এই পাড়া সেই পাড়া সব পাড়ার মেয়েরাই ঘোতুকে ভিষণভাবে কামনা করে। সবার মাঝেই ঘোতুর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বহুবার তো এমন হয়, বাজারের উপর দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে দিয়ে দামী এম্বাসেডর গাড়িতে মেয়েরা তাদের বরের সাথে কিংবা বাইকে করে প্রেমিকের সাথে যাচ্ছে, এরা বাজারে থেমে ঘোতুর খোঁজ করছে।
একবার হয়েছে এক কান্ড। এক মেয়ে নাকি এসেছে, ঘোতুর খোঁজ করছে। ছুটতে ছুটতে সেখানে গিয়ে হাজির ঘোতু। কিন্তু যদিও মাথায় কাম, তবুও বিধি বাম। মেয়েটা বাংলা জানে না। স্মার্ট ঘোতু হিন্দি ইংরেজীতে কামনা জড়জড়িত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, কেইসে হো? হাউ আর ইউ?
মেয়েটার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে চাপ অনুভব করা ব্যাথিত চাহনি দেখে ঘোতু বুঝে নিয়েছিল, সুন্দরী মেয়েটা হিন্দি বা ইংরেজীও জানে না। তাই সেদিন ঘোতুর সাথে মেয়েটার বনে নি। মেয়েটা তার প্রেমিকের সাথে দিব্যি ঘোতুর ক্ষেতের ড্রাগনফল খেয়ে মন ভর্তি প্রচন্ড অনিচ্ছা নিয়ে বার বার আড়চোখে ঘোতুকে আইফাক করতে করতে চলে গেল।
সেদিনই ঘোতু কীরে কেটেছে। পৃথিবীর সবগুলো ভাষায় সে কথা বলা শিখবে। অন্তত “কেমন আছো?” টুকু বলা তো তাকে শিখতেই হবে। সাথে “ভাল আছি, সুস্থ আছি” টাও শিখতে হবে ওকে। যদিও জবাব তাকে দিতে হবে না তবুও শুনে বুঝে নিতে তো হবে যে মেয়েটা আসলেই ভাল আছে কি না।
যাই হোক, এই সব ছাইপাশ ভাবতে ভাবতে সে বাজারে সারের দোকানে এসে পৌছোল। সারের একটা বস্তা নগদ পয়সায় খরিদ করে ভাব জমানোর জন্য সারদোকানের দোকানীকে বলল, “হ্যারে, একটা কথা বল না আমায়?”
“কি কথা?”
“আরে ঐ রীতার বাড়িটা কোথায়?”
“কি বলছিস রে ঘোতু, কোন রীতা?”
“আরে ঐযে রীতা, যাকে তোরা বলতিস, রীতাজি ও রীতাজি, তোমার সাথে বনে যাবো এই মোর আর্জি। খ্যেক খ্যেক খ্যেক…”
“ধুর ওয়াড়া কিসব বলছিস। তোকে কারও ঠিকানা দেয়া যাবে না। তুই সবাইকে জ্বালাস।“
“আরে না না কি যে বলিস। আমি কাউকে জ্বালাই না। সবার সাথেই আমার সম্পর্ক খুব ভাল সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু। রীতাও আমার অনেক ভাল বন্ধু, আমার সাথে খুব ভাল সম্পর্ক।“
“লেহ। তোর সাথে যদি রীতার এতো ভাল সম্পর্ক থাকে তাহলে তুই রীতাকে নিজেই জিজ্ঞেস করে নে না ওর বাড়ির ঠিকানা কোথায়।“
“আরে কি করে জিজ্ঞেস করব? রীতার সাথে তো আমার কথা হয় নি কখনও। এজন্যই তো ওর বাড়ি যেতে চাইছি। ড্রাগনফল নিয়ে যাব। তোকেও দেব। বলনা ঠিকানাটা।“
“এই ঘোতু, তুই পালা তো এখান থেকে। জ্বালাস না এখন আমাকে।“
“হ্যা তাড়িয়েই দে… আমি এই তো আর কটা দিন আছি। এরপর তো চলেই যাব।“ বলতে বলতে সারের বস্তা মাথায় তুলে নিয়ে হেটে চলল ঘোতু নিজের বাড়ির দিকে।
মনটা খুব খারাপ। মেয়েগুলো কেমন আছে জানা হচ্ছে না। দেখা কি হবে ওর রীতার সাথে? জানা যাবে কি রীতা কেমন আছে?
.
.
.
আপনারা চাইলে চলবে......
ভোর ৪টে। হালকা শীত শীত পড়ছে। সারাদিন শীত না থাকলেও ভোরবেলা বেশ শীত পড়েই।
ধুতির নিচে নিজের থার্মোমিটারটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঘোতু। এই থার্মোমিটারের মাধ্যমেই সে তাপমাত্রা মেপে থাকে। থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য তাপমাত্রার ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ তাপমাত্রা যত বাড়তে থাকবে, থার্মোমিটারটা দৈর্ঘ্যে কমতে থাকবে। যদিও থার্মোমিটারটা দৈর্ঘ্যে খুব বেশি একটা বড় বলে কেউ তাকে কখনও বাহবা দেয় নি। তবুও সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ খুঁজে নিতে ঘোতু পারদর্শী। নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড আশাবাদী সে।
নিজের থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য কম বলে পুঙ্খানুপুঙ্খ তাপমাত্রিক হিসাব নির্ণয় ঘোতুর পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও দুটি কাঠলিচু আকৃতির বিচির মাঝে একটি শুকনা খুরমার মত উচু হয়ে থাকা নুঙ্কু অর্থাৎ থার্মোমিটার দেখে শীত এর তীব্রতার জানান পেল সে। খানিকখন বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি করল। উঠতে ইচ্ছে করছে না। পাশবালিশটাকে জড়িয়ে ধরবে বলে ভাবলো। দেখলো পাশবালিশের মাঝখানটা চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। হবে নাই বা কেন। কোমড়ের জোড় গত কয়েক বছর ধরে এর উপর দিয়েই তো চালিয়ে নিচ্ছে। নাহ আর শুয়ে থাকা যাবে না। দ্রুত বিছানা ছাড়তে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। অগত্যা ধুতিখানা কোমড়ের কাছে জড়সরো করে ধরে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। ধুতিটা ঠিকঠাক করে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজার দিকে যাচ্ছিল ঘোতু। কি মনে হতে আবার ফিরে এলো। গায়ে বেশ করে একটা শার্ট চাপিয়ে নিল। অনেক দিন কাঁচা হয় নি বলে শার্টের বগলের দিকটা হলদে হয়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় ঘামের কালসিটে ধাপ্পা দাগ পড়েছে। যাই হোক, এই অন্ধকারে এইটা কেই বা দেখবে। এখন এক বৌদির সাথে ঘোতুর মোলাকাতের পরিকল্পনা আছে। এই ভোর ভোরে বৌদি স্নান করতে যায়, সে লোকমুখে শুনেছে। আজ সে এই স্নান করা দেখেই থার্মোমিটারের দৈর্ঘ্য আবার ঠিক করবে ঘোতু। গায়ে কাপড় চরানোর অন্য একটা কারণ অবশ্য আছে তাঁর। কিন্তু সেটা খুবই গোপন খবর। কাউকে বলা যাবে না।
পথে হাটতে হাটতে নিজের কথা ভাবতে ভাবতে হেটে চলল ঘোতু। ছেলেবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর। নুঙ্কু খেচার শুরু তার অনেক কাঁচা বয়স থেকেই। তখন তো আর আজকের মত পানু ফানু ছিল না। কারও সাথে প্রেমটাও সেভাবে হয়ে ওঠে নি। তাই নিজের নুঙ্কু খেচা ছাড়া ঘোতুর হাতে আর কোনও উপায় ছিল না। একদিন ঘোতু ছোট বেলায় গ্রামের বাজারের টং দোকানে বসে বসে চা খাবে ভাবছে। তখন ঘতু সবে নিজের বাঁড়ায় কিছু তেজ অনুভব করছে। কিন্তু কারও সাথেই এই নতুন অনুভূতি নিয়ে সে কোনও আলোচনা করতে পারছে না। বাজারে এসে দেখলো কাঁচা পেপে আছে। পেপের দোকানদারের সাথে তার বেশ ভাল সম্পর্ক। অন্তত সে তাই মনে করে। অনেক কাকুতি মিনতি করে সে পেপেওয়ালার কাছ থেকে একটা পেপে নিল। বলল পুরোটা লাগবে না। একটা লম্বা ফালি তাকে কেটে দিতে, সে লঙ্কাগুড়ো আর লবণ দিয়ে খাবে। নিমরাজী হয়ে বিক্রেতা তার হাতে একফালী পেপে তুলে দিল। খুশিতে ঘোতুর চেহারায় একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল। কাঁচা পেপে খেতে খেতে সে ভাবল, ফলই ভাল। সবকিছুতেই ভাল ফল হবে। নিজের মনে ফলের প্রতি অন্যরকম ভালবাসা অনুভব করতে পেরে সে সিদ্ধান্ত নিল, জীবিকার পন্থা হিসেবে সে কোনও না কোনও ভাবে ফলের সাথেই সংযুক্ত হবে।
এই ভাবতে ভাবতে দেখলো একটি মুদির দোকানের সামনে একটা মেয়ে এসেছে। মেয়েটাকে দেখে ও অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু পাত্তা পায় নি। মেয়েটা মুদির দোকানীকে বলল, “দাদা একটা পচা সাবান দিন তো।“
কথাটা শুনেই ঘোতু চোখ তুলে তাকালো মেয়েটির দিকে। আটপৌরে সারি পড়া, না আচরানো রুক্ষ্ম চুলের একটি মেয়ে। সবে তারুন্যে পা দিয়েছে। মেয়েটা সাবান কিনতে এসেছে এই দুপুরবেলা। কি করবে মেয়েটা সাবান দিয়ে? নিশ্চয়ই স্নানে যাবে? ভাবতেই দেখলো তার কাঠলিচু মার্কা বিচিতে হালকা একটা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। নিজের বুকের ধুকপুকানী সে নিজের কানে শুনতে পাচ্ছে। জিভটা হালকা বের করে নিজের নিচের ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিল।
মেয়েটা হেটে চলেছে নিজের বাড়ির দিকে। দুরুদুর পায়ে তাকে পিছা করে চলেছে কাঁচা বয়সে সেক্স ফিল করা ঘোতু। মনে মনে ভাবছে, আজ কিছু একটা হতে চলেছে। মেয়েটাকে ফলো করে যেতে যেতে তার সেক্স কিছুটা কমে গেছিল যদিও। কিন্তু একটা ঘাটলা পুকুর চিন্তা করতেই আবার দ্রুত পা চালালো ঘোতু।
এর আগে এমনটা কখনও হয় নি। স্নানঘর শব্দটা নিজের মাথায় আসতেই বাঁড়া নাড়ার আগ্রহ চাগিয়ে উঠছে তাঁর মাথায়। মেয়েটা ইতোমধ্যেই নিজেদের ভিটায় ঢুকেছে। ঘোতু দাঁড়িয়ে থাকল ওদের বাড়ির পুকুরের ঘাটলার কাছে। কিন্তু মেয়েটা তো বাইরে এলো না। অনেকক্ষন পর মেয়েটা বাইরে বেড়িয়ে এলো। ঘোতু দেখল মেয়েটাকে কাছে থেকে। যদিও মেয়ে তবুও নাকের নিচে গোঁফ আছে মেয়েটার। আর সেটা নরম রেশমি লোমের মতও নয় যেটা স্বাভাবিক নারীদের থাকে অনেক ক্ষেত্রে। বেশ মোটা মোটা গোঁফ। দেখে ঘতু একটু দমে গেল। তবুও সাহস করে ডাক দিয়েই বসল একবার ওকে।
“এইযে বিটি, শুনছিস? নাম কি রে তোর?”
“আমার নাম? নবীণা।“ মেয়েটা উত্তর দিল।
গরমে হেটে হেটে মেয়েটার নাকে ঘাম জমেছে। সেটা আবার গোঁফের কষ বেয়ে গড়াচ্ছে। কিন্তু এসবের দিকে ঘোতুর কোনও দৃষ্টি নেই। ঘোতু তাকিয়ে আছে নবীণার হাতের পচা সাবানের প্যাকেটটার দিকে। সে নবীণাকে জিজ্ঞেস করল, “ তোর নাম নবীণা? ভারী সুন্দর নাম রে তোর। খ্যেক খ্যেক। তা আছিস কেমন?”
“জি ভাল। আপনি ভাল?”
প্রশ্নটার জবাব দিতে পারল না ঘোতু। তার শরীরে তখন কামের বান ডেকেছে। একটা মানুষ ভাল থাকে কি করে? শিনশিন করে তার নুঙ্কুটা তাতিয়ে উঠলো। ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুনি বাড়াটা একটু রগড়ে নেয় দু হাতে। না পেরে বামপায়ের উপর ডান পা চেপে ধরে কাঠলিচু সমেত থারমোমিটারটা রগড়ে নিলো নিজের রানের মাঝে।
মেয়েটা বলল, “থাকুন, আমি যাই।“
ঘোতু তখন কিছু শোনার বা জবাব দেবার অবস্থায় নেই। ওর শিরায় তখন রক্তের বদলে বীর্য ছুটে বেরাচ্ছে। লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছে ঘোতু, মেয়েটা হাটতে হাটতে আস্তে আস্তে আবরণটা খুলে ফেলছে। বাম হাতে পুরো আয়তনটা নিয়ে একটু চেপে দেখছে মেয়েটা। এরপর ডানহাতটা সাইডে নিয়ে বৃদ্ধা আর তর্জনীর মাঝে ভাজটা চেপে ধরে উপরের দিকে হালকা জোড়ে টানদিতেই মৃদু চরক শব্দে অর্ধেক বন্ধন আলগা হয়ে গেল। তর্জনিটা ঢুকিয়ে বাকি অংশের ভাজ হয়ে থাকা বন্ধন আঙুলের বাকানো সারাসি শেপের ডগার চাপ দিয়ে আলগা হতে দেখেই ঘোতু অনুভব করল ওর শরীরের হৃদপিন্ড দু ভাগে ভাগ হয়ে একভাগ গলায় চলে এসেছে আর আরেকভাগ গিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিচিতে। দুটো ভাগ একসাথে বিট করার বদলে শিৎকার করছে। এক হাত দিয়ে মেয়েটা আলগোছে গলা গলিয়ে আবরণটা যেই মাত্র সম্পূর্ণ রূপে খুলে ফেলেছে, অনাবৃত শরীরে তখন মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে, মেয়েটা ভাবছে এই আবরণীটা সে রাখবে কোথায়, তখনই ঘোতু সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বলেছিল, “নবীণা, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। গাছেদের ক্ষতি হয়। খ্যেক খ্যেক। তুমি ঐ সাবানের প্যাকেটটা আমায় দাও।“
মেয়েটা সাবানের প্যাকেটটা দিয়ে দিতেই ঘোতু সেটা দুহাতে ধরে নিল। এরপর কোনও কথা না বলে সঙ্গে সঙ্গে উলটো দিকে ঘুরে ছোট ছোট দ্রুত পায়ে হাটা শুরু করল। একটা সুস্থ মেয়ে নাইতে যাচ্ছে, তার সাবানের খোসাটা হাতে ধরে রেখেছে ঘোতু, ব্যাপারটা এতোই উত্তেজক যে ও নিজের দু পা ঠিক মত আলগা করতে পারছে না। মনে হচ্ছে কচি থার্মোমিটারের পারদ এক্ষুনি মাথার বাল্ব ফাটিয়ে ছিটকে বেরিয়ে এসে গলগলিয়ে থার্মোমিটারের গা ভিজিয়ে দেবে। খুব বেশি দূর যাওয়া অবধি ধরে রাখতে পারে নি ঘোতু। সদ্য খোলা সাবানের প্যাকেটটা হাতের মধ্যে মুঠো করে ধরে নাকে মুখে ঘষতে ঘষতে নিজের রানের মাসলে টান অনুভব করতে করতে নিজের বীজ সচেতনভাবে ছেড়ে দিল ঘোতু নিজের জামার ভেতরেই। সেটাও হাটতে হাটতে।
পরম আবেশে সাবানের প্যাকেটটা মুখে পুরে কামড়ে ধরল। টিথিং করতে ইচ্ছে করছে ওর। আস্ত একটা সাবান পেলে এখন কামড়ে খেয়েই ফেলতো। একটা সুস্থ মেয়ে, স্নান করবে এখন। ভাবা যায়? ভাবতেই নিজের সদ্য খালি হওয়া কাঠলিচুতে আবার শিহরণ অনুভব করেছিল ঘোতু।
কালক্ষেপন না করে দ্রুত পা চালিয়ে নিজের বাড়ির দিকে হাটা দিল ঘোতু। এক্ষুনই একটা সাবান দেখে বাঁড়া খিচা চাই ওর। কাঠলিচু থেকে এখনও সব শাস বের করা হয় নি। ও আজ নিজের সব শাস নিঙরে নিতে চায় ওর কচি থার্মোমিটার দিয়ে।
পুরো বিষয়টাই দূর থেকে দেখেছিল রূপঙ্কর। রুপঙ্কর ওদের পাড়ারই এক ছেলে। যদিও ঘোতুর চাইতে বয়সে অনেক ছোট। তবুও যৌন চিন্তায় ওরা একই ধাঁচের। সেটা অবশ্য ঘোতু তখনও জানতো না। আর রুপঙ্কর ব্যাপারটা বুঝে নি যে ঘোতু মূলত সাবানের প্যাকেট হাতে নিয়ে হস্তমৈথুন করছে। সাবানের প্যাকেটটা যখন ঘোতু নিজের নাকে মুখে ঘষছিল এবং রক্তে মালের শিরশিরানি সইতে না পেরে মাড়িতে চুড়ান্ত উত্তেজনা অনুভব করে সেই প্যাকেটটাকেই কামড়ে ধরছিল, তখন রুপঙ্কর ঘোতুর কোমড়ের কাপুনি দেখে ভেবেছে ঘোতুদা হয়তো পাদ দিচ্ছে। আর সেটার গন্ধ সইতে না পেরে সাবানের প্যাকেট মুখে চেপে ধরেছে।
রুপঙ্করের কথাটা মাথায় আসতেই এতো বছর বাদেও খিস্তে উঠলো মনে মনে ঘতু। মালটা সেদিনের দেখা সেই দৃশ্য পুরো পাড়ায় ঢোল পিটিয়ে বলেছে আর ঘোতুর নাম দিয়েছে ‘মুখে চেপে পাদ দেয়’।
সেই থেকে ঘোতুকে পাড়ার সব ছোকড়ারা মুখে চেপে পাদ দেয় বলেই খেতাবী করে চলেছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই দ্রুত পা চালিয়ে একটা তাল গাছের নিচে এসে দাঁড়ালো ঘোতু। এই বেলা এই তালগাছে চড়তে হবে। তালগাছের উপরে উঠলে একটু সামনের একটা স্নান ঘরের চালা নজরে আসে। সেই চালার উপরে আবার একটা টিন নেই। ওটা কি পাড়ার রুপঙ্করের মত পাব্লিক খুলে ফেলেছে না বৌদি নিজেই দমবন্ধভাবটা ঘোচানোর জন্য খুলে ফেলেছে তা জানে না ঘোতু। থাক গিয়ে, অতো ভেবে কাজ নেই। গাছে চড়ে দু হাতে দু পায়ে গাছ আঁকড়ে ধরে রেখে ঘাছের খড়খড়ে কাঠে নিজের থার্মোমিটার ঘষবে ভাবতেই এই শীতেও ঘোতুর নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে লাগল। ওর ঠোট ফেটে রেন্ডির গুদ হয়ে আছে। তবুও দূর থেকে স্নানঘরটা দেখেই গুটখাখোড়দের মত মুখের কষ বেয়ে কামলালা ঝড়াতে লাগলো ঘোতু কাম লালসায়। আজ স্নানঘর আর গাছচোদা পেয়েই নিজের সকল অসুস্থতা সারিয়ে তুলবে সে।
ধুতিটা মালকোচা দিয়ে গাছে চড়তেই দেখলো অলরেডি স্নানশো শুরু হয়ে গেছে। স্নানঘরের ছাদের কৃত্তিম গরীব স্কাইলাইট দিয়ে কোনও আলো যদিও ঢুকছে না। তবে সে দেখতে পাচ্ছে সেখানে একটা কমবয়সী বৌদি বসে আছে। বৌদি তখনও কোনও জামা কাপড় খুলে নি। কিন্তু বাংলা ‘দ’ বর্ণের মত করে বসে আছে নিজের দু পায়ের উপর। একটু পর পর বৌদির শরীরে একটা চাপা দমক কম্পন সে এই দূর থেকেও টের পাচ্ছে। বুঝে নিতে দেরি হল না, বৌদিটা মূলত স্নান নয়, পটি করছে। ভাবতেই ঘোতু অনুভব করল তার থারমোমিটারটা খোরমার আকৃতি ছেড়ে, নলখাগড়ার আকৃতি নিতে শুরু করেছে। প্রচন্ড উত্তেজনায় নিজের কোমড় রগড়ে গাছের শুকনো কাঠে ঘষতে শুরু করল সে। ইস, ভুল হয়ে গেল, ভাবছে মনে মনে ঘোতু। একটা সাবানের প্যাকেট থাকলে আরও ভাল লাগতো।
আচ্ছা, বৌদিটা কেমন আছে? যদি জানা যেত, ভাল লাগত তার খুব। পরে নিজে নিজেই ভাবল, কেমন আর থাকবে? এতো ভোর ভোর করে যে বৌদি পটি করতে এসেছে সেই বৌদি সুস্থই আছে। কারণ পটিই সুস্থতার মাপকাঠি।
“আর আমারটা তাপকাঠি” ভেবে আপন মনেই খ্যেক খ্যেক করে হেসে উঠলো ঘতু। চার হাত পায়ে গাছ আঁকড়ে ধরে নিজের কোমড় দুলিয়ে গাছটাকে মৈথুন করছে আর মনে মনে জপছে, “সুস্থ বৌদি স্নান ঘরে পটি করছে, সুস্থ বৌদি আহহহ… আমি একটা সুস্থ গাছকে করছি। এই গাছের গোড়ায় আমার বীর্জ ফেলে পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রে আমি ভূমিকা রাখব।“ ভাবতে ভাবতে ঘোতু ভাবলো যারা সুস্থ থাকে তারাই এরম পটি করে। চিন্তাটা মাথায় আসতেই আর নিজের তাপকাঠীর বাল্ব বন্ধ রাখতে পারল না ঘোতু। শরীর কাপিয়ে পেট থেকে বড় নিঃশ্বাস ফেলে পারদ ছাড়তে লাগল শুকনো গাছের কাঠে।
এরপর আস্তে আস্তে গাছ বেয়ে নেমে এলো ঘোতু। মনটা একটু খারাপ হল এই ভেবে যে বৌদিটা কেমন আছে সেটাই জানা হল না। জিজ্ঞেস করতে ওর আপত্তি নেই। সবার সাথেই ঘোতুর সম্পর্ক খুব ভাল। যদিও মাঝে মাঝে ওর উপর অনেকেই রেগে যায় তবে সেটা নিতান্তই মজা করে। কিন্তু রাত বিরাতে চেচিয়ে বৌদিকে কেমন আছে, শরীর কেমন জাতীয় প্রশ্ন করতে ওর ঠিক ইচ্ছে করছে না। এরমধ্যে কেবলই কাঠলিচু থেকে শাস ছাড়িয়েছে ও। থাক পরে এসে জিজ্ঞেস করে যাবে। আর জিজ্ঞেস করবার সুযোগ যদি নাই পায়, ঐ হাগনকুঠির দরজায় খড়িমাটি দিয়ে লিখে যাবে, “কেমন আছো তুমি, বৌদি? শরীরটা কেমন?”
জবাব দেবার সুবিধার জন্য দরকার হলে ওখানে এক বক্স চক ও রেখে যাবে। যদি তখন বৌদিটা ওখানে জবাবে লিখে রেখে যায় যে সে সুস্থ আছে, ভাল আছে। তাহলে পরবর্তী এক মাস সে ঐ লেখা দেখেই কাঠিমৈথুন করতে পারবে।
এসব ভাবতে ভাবতেই নিজের বাড়ির দিকে হাটতে থাকে ঘোতু। আজকে বাজার থেকে সার কিনতে হবে। জীবনের একমাত্র স্বপ্নটাই সে পূর্ণ করেছে। সে ভেবেছিল সে ফল নিয়ে থাকবে। সে সত্যিই ফল পেয়েছে। ছাদক্ষেতে সে ড্রাগনের খামার করেছে। ইয়ে… ড্রাগনফল চাষ করেছে। সেগুলোতে আজ উচ্চফলনশীল সার দিতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই হেটে হেটে বাড়ির দিকে চলতে থাকে ঘোতু।
মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল ঘোতুর। সময় ফুরিয়ে এসেছে তার। সে আর বেশিদিন নেই এখানে। আর এইতো কয়েকটা দিন থাকবে। এরপর সে হারিয়ে যাবে এখান থেকে। শুধু ফেলে রেখে যাবে সাধের স্নানঘর, সাবানের খোসা আর ড্রাগনফলের ছোবড়া। সুস্থ থাকুক সব বাড়ির মেয়ে-বৌরা।
দিনের আলো ফুটতেই জামাটা এবার বদলে নিল ঘোতু। বাজারে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে সার এর একটা বস্তা কিনতে হবে। এরপর সেই সারের বস্তা মাথায় করে নিয়ে আসতে হবে নিজের ছাদক্ষেতে। ড্রাগনগুলোকে এই উচ্চফলনশীল সার খাওয়ালেই গাছগুলো সুস্থতার সাথে তরতর করে বড় হবে। ‘সুস্থতা’ শব্দটা মাথায় আসতেই তাপকাঠির শিরশিরানি আবার টের পেলো ঘোতু। বেশ খুশি ওটা আজ। ভোর রাতে একবার পারদ ছেড়েছে। এখন আবার চাইছে। এটা বেশ সুস্থতারই লক্ষণ।
বাইরে বেরোনোর জন্য সাজতে বসল ঘোতু। এমনিতে সে অলসতার জন্য জামা কাপড় নিয়মিত না কাচলেও উপরে ফিটফাট থেকে নিজের ভেতরের গঙ্গার ঘাট অবস্থাটা ভালই গোপন করে রাখে। বয়স চল্লিশ ছাড়িয়েছে অনেক আগে। অন্ডোকোষে যেমন ছাড়া ছাড়া দু একটা বাল থাকে, তেমনি ওর মাথার চাদিতেও দুই একটা চুল ছাড়া বেশ বিশাল একটা টাক। তবে স্টেডিয়ামের গ্যালারির মত মাথার চারপাশে চুল থাকায়, একটা ক্যাপ দিয়ে টাক ঢেকে ও নিজেকে আয়নায় বেশ ইয়াং ই ফিল করে। এখন বাইরে রোদের কারণে বেশ গরম, একটু হাতাকাটা খোলামেলা জামা পড়লে ভাল লাগতো কিন্তু সেটা করা যাবে না। কারণ তাহলে তার বগল আর বুকের কাঁচাপাকা লোমগুলো বেরিয়ে পড়ে তার আসল বয়সের জানান দিয়ে দেবে। মাথার চুলগুলোকে কলপ করে কালো করে রেখে ক্যাপের আড়ালে টাকটা ঢেকে, দাঁড়ি কামিয়ে চকচকে তেলতেলে চেহারা বানিয়ে নিজেকে বেশ ইয়াং প্রমাণ করে সে। সবাই অবশ্য ঘোতু কে ইয়াং হিসেবেই যানে। আর সবাই বেশ পছন্দ ও করে ঘোতুকে। মূলত এই পাড়া সেই পাড়া সব পাড়ার মেয়েরাই ঘোতুকে ভিষণভাবে কামনা করে। সবার মাঝেই ঘোতুর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বহুবার তো এমন হয়, বাজারের উপর দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে দিয়ে দামী এম্বাসেডর গাড়িতে মেয়েরা তাদের বরের সাথে কিংবা বাইকে করে প্রেমিকের সাথে যাচ্ছে, এরা বাজারে থেমে ঘোতুর খোঁজ করছে।
একবার হয়েছে এক কান্ড। এক মেয়ে নাকি এসেছে, ঘোতুর খোঁজ করছে। ছুটতে ছুটতে সেখানে গিয়ে হাজির ঘোতু। কিন্তু যদিও মাথায় কাম, তবুও বিধি বাম। মেয়েটা বাংলা জানে না। স্মার্ট ঘোতু হিন্দি ইংরেজীতে কামনা জড়জড়িত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, কেইসে হো? হাউ আর ইউ?
মেয়েটার কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে চাপ অনুভব করা ব্যাথিত চাহনি দেখে ঘোতু বুঝে নিয়েছিল, সুন্দরী মেয়েটা হিন্দি বা ইংরেজীও জানে না। তাই সেদিন ঘোতুর সাথে মেয়েটার বনে নি। মেয়েটা তার প্রেমিকের সাথে দিব্যি ঘোতুর ক্ষেতের ড্রাগনফল খেয়ে মন ভর্তি প্রচন্ড অনিচ্ছা নিয়ে বার বার আড়চোখে ঘোতুকে আইফাক করতে করতে চলে গেল।
সেদিনই ঘোতু কীরে কেটেছে। পৃথিবীর সবগুলো ভাষায় সে কথা বলা শিখবে। অন্তত “কেমন আছো?” টুকু বলা তো তাকে শিখতেই হবে। সাথে “ভাল আছি, সুস্থ আছি” টাও শিখতে হবে ওকে। যদিও জবাব তাকে দিতে হবে না তবুও শুনে বুঝে নিতে তো হবে যে মেয়েটা আসলেই ভাল আছে কি না।
যাই হোক, এই সব ছাইপাশ ভাবতে ভাবতে সে বাজারে সারের দোকানে এসে পৌছোল। সারের একটা বস্তা নগদ পয়সায় খরিদ করে ভাব জমানোর জন্য সারদোকানের দোকানীকে বলল, “হ্যারে, একটা কথা বল না আমায়?”
“কি কথা?”
“আরে ঐ রীতার বাড়িটা কোথায়?”
“কি বলছিস রে ঘোতু, কোন রীতা?”
“আরে ঐযে রীতা, যাকে তোরা বলতিস, রীতাজি ও রীতাজি, তোমার সাথে বনে যাবো এই মোর আর্জি। খ্যেক খ্যেক খ্যেক…”
“ধুর ওয়াড়া কিসব বলছিস। তোকে কারও ঠিকানা দেয়া যাবে না। তুই সবাইকে জ্বালাস।“
“আরে না না কি যে বলিস। আমি কাউকে জ্বালাই না। সবার সাথেই আমার সম্পর্ক খুব ভাল সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু। রীতাও আমার অনেক ভাল বন্ধু, আমার সাথে খুব ভাল সম্পর্ক।“
“লেহ। তোর সাথে যদি রীতার এতো ভাল সম্পর্ক থাকে তাহলে তুই রীতাকে নিজেই জিজ্ঞেস করে নে না ওর বাড়ির ঠিকানা কোথায়।“
“আরে কি করে জিজ্ঞেস করব? রীতার সাথে তো আমার কথা হয় নি কখনও। এজন্যই তো ওর বাড়ি যেতে চাইছি। ড্রাগনফল নিয়ে যাব। তোকেও দেব। বলনা ঠিকানাটা।“
“এই ঘোতু, তুই পালা তো এখান থেকে। জ্বালাস না এখন আমাকে।“
“হ্যা তাড়িয়েই দে… আমি এই তো আর কটা দিন আছি। এরপর তো চলেই যাব।“ বলতে বলতে সারের বস্তা মাথায় তুলে নিয়ে হেটে চলল ঘোতু নিজের বাড়ির দিকে।
মনটা খুব খারাপ। মেয়েগুলো কেমন আছে জানা হচ্ছে না। দেখা কি হবে ওর রীতার সাথে? জানা যাবে কি রীতা কেমন আছে?
.
.
.
আপনারা চাইলে চলবে......