• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

হ্যারিকেন

Mr Strange

Favoured Frenzy
1696049792127.jpg
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...

@ladywiththelamp35
@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
 
Last edited:
View attachment 168099
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...


@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
Akhuno dekha jai grame kintu khub kom. Valo laglo purano sriti dekhe.
 
View attachment 168099
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...


@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
এই আমি দেখেছি র আমি এটা ব্যাবহার ও করেছি ।
 
View attachment 168099
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...


@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
Purono smriti mone koriye dile :heart1:
 
View attachment 168099
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...


@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
Adhunik prajuktir sujog subidhar janyo purbo diner ei otyaboshyak jinisti biluptir pathe. Tobuo gramanchole kerosin lampho aar hariken chhara alor byabosthya aage vaba jeto na.
 
Adhunik prajuktir sujog subidhar janyo purbo diner ei otyaboshyak jinisti biluptir pathe. Tobuo gramanchole kerosin lampho aar hariken chhara alor byabosthya aage vaba jeto na.
Haaaa . Amar barite ache akhono 3 te edik odik pore kintu অব্যবহৃত । ভাবাই হয়না ওটার কথা এই প্রযুক্তির যুগে
 
View attachment 168099
এখন বর্তমানে হয়তো এটা অনেকেই দেখেনি বা এর ব্যবহার জানে না। কিন্তু আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন কারেন্ট চলে গেলে এটাই ব্যবহৃত হতো। বর্তমান দিনের মতো তখন ইমার্জেন্সি লাইট এর প্রচলন এতটা ছিলো না। ছোট বেলা থেকেই খুব নিবিড়ভাবে সম্পর্ক আছে এর সাথে আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি, বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে বাবা ভর্তি করে দিয়ে এলেন। কতই বা বয়স তখন সাড়ে 9 বছর। প্রথম প্রথম মন তো আর কিছুতেই বসে না। বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ লাগতো। হোস্টেলে সব নতুন তখন, একা একা জীবন। খেতে দেবারও কেউ নেই, জামা কাপড় কেচে দেবারও কেউ নেই আর মশারি টাঙিয়ে দেবারও কেউ নেই। ঐ টুকু বয়সে সব নিজে নিজেই করতে হয়েছে। সকালে জামা কাপড় কেচে স্নান করে লাইনে বসে পড়তাম খেতে। খাবার থাকতো ভাত আর আলুর ঘেট দিয়ে একটা সবজি। সেই খেয়ে স্কুল চলে যেতাম। স্কুল থেকে এসে বিকেলে দুটি মুড়ি খেয়ে টিউশন থাকতো।সেখান থেকে এসে সন্ধে বেলায় পড়তে বসা, আর কিছুক্ষন পরেই কারেন্ট চলে গেলে এই হ্যারিকেন টায় তখন জ্বালাতে হতো। হ্যারিকেনের কাঁচে কালি পড়ে গেলে উনুনের পাঁশ দিয়ে মাজতে হতো তাহলে ভালো পরিষ্কার হতো। কেরোসিন তেল থাকতো কাছে এবং হ্যারিকেনে ঢেলে রাখতে হতো। একবার রাত্রে ঘুমোচ্ছি কারেন্ট চলে গিয়েছে খুব জল তেষ্টা পেয়েছে তখন কেরোসিন টাকেই ভুল বসত জল ভাবে খেয়ে নিচ্ছিলাম। পরোক্ষনে সেটা বুঝতে পারি। এই ভাবে কয়েকমাস চলে হোস্টেলে মন আর কোনোমতে সায় দেয়নি। তারপর থেকে সকালে স্কুল করে বিকেলে বাড়ি চলে আসতাম । কিছু ভালো লাগতো না। পরদিন বাবা আবার সাইকেল করে সেখানে দিয়ে আসতেন। আমি আবার বিকেলে স্কুল করে বাড়ি চলে আসতাম। বাবা এই সকালে দিয়ে আসে আর আমি বিকেলে চলে আসি। তারপর একদিন বাস বন্ধ। আমার আসার উপায় বন্ধ। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস বরাবরেই। আমি তখন ঠিক করলাম বাড়ি তো যেতেই হবে। মাথায় বাস্ক, একহাতে একটা ব্যাগ আর এক হাতে হ্যারিকেন টা নিয়ে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম। ঐ বয়সে আট কিমি পথ হেঁটেই বাড়ি ফিরলাম। বাড়ির লোক তো অবাক। বাবা ঠিক করলেন এমনে হবে না। তারপর কয়েক মাস পর অনেক অনুরোধে নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করলেন। সেখান থেকে মাধ্যমিকে দিয়ে পরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে আবার মেস জীবন শুরু হলো। আর এই হ্যারিকেন টায় সঙ্গ থাকতো। কারেন্ট গেলে মেসে হ্যারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করতাম। তাই এর গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম।
তবে সেই ছোট বেলার হোস্টেল জীবন থেকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। নিজে নিজেই সব কিছু করা।
এখন এই হ্যারিকেনের আলো বিলুপ্তির পথে...


@Neptune
@Smrita.
@Ankita
@Tongue tornado
@Wrishuuu
@Reyan980
@Day_Dreamer
@Meghnad
@Semicolon_
@Tiktiki
@misstti
@Anshhi
@Satyanweshi
@Saurabh Dariwala
@subsar
@Babai_43
@Aurelía ʚїɞ
Ooohhhhhh tagging a ami baad!!!!!:mad:
 
ছোটবেলায় পড়াশুনা করেছি এই আলো তে.. এখন zozo র আলো তে
হ্যাঁ ,বর্তমানে আমরা জোজোর আলোতে আলোকিত ও বিকশিত :Laugh1:
 
Top