torighori_hansda
Active Ranker
অ্যপোক্যালিপ্স!
মানব সভ্যতা প্রায় অবলুপ্ত। প্রায় আর কি। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বেশিরভাগ দুনিয়া জলের তলায়।
ইতস্ততঃ প্রাণের লক্ষণ বিদ্যমান। কিছু স্থানে দোকানপাট, লোকজন, গবাদীপশু দেখা যাচ্ছে। নতুন করে সভ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে মানবজাতি।
অবশ্য কতিপয় সন্ন্যাসী, সাধক, যোগীপুরুষ কৃচ্ছসাধণার বলে দিব্যি, অবলীলায় চলাফেরা করছেন এই কেয়ামতের দিনেও। তাঁদেরই দুজন নৌকায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন, আহারাদি যোগাড় করে।
অনেক দূরে নদীর কূলে ঈষৎ বামনাকৃতি একটি লোককে দেখা যায়। দুই সন্ন্যাসী সেদিকেই নৌকা বাইলেন। দৃষ্টিসীমার ভেতরে আসতে, একজন যেন চমকিত হয়ে ওঠেন।
- ও কে আচার্য, আপনার চেনা কেউ?
- হা ঈশ্বর, এই মহাপ্রলয়ের দিনে ওই অর্বাচীন নদীর তীরে কি করছে?
- ও কে ভদন্ত? কি উহার পরিচয়, আপনিই বা চঞ্চল হয়ে উঠলেন কেন?
ততক্ষণে নৌকা পাড়ের কাছে ভিড়ছে। তাদের দেখেই উন্মাদের মত দৌড়ে এলো ছোকরা। হাতে একটি চলভাষ। মানে ভাল বাংলায় যাকে বলে মোবাইল ফোন।
তারপর দুই সন্ন্যাসীকে উদ্দেশ্য করে চিৎকারপূর্বক গড়গড়িয়ে বলতে থাকলো
আমি কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরি করি, বেতন ২০ লাখ, সাড়ে পাঁচ ফুট, যাদবপুরে নিজ বাড়ি, ফুলগাজীর জমিদারবংশ, জাতে ক্ষত্রিয়, বাবা ঠিকাদার, সনাতনী হিন্দু মেয়ে চাই, বাপকে বড়োলোক হতে হবে, যে কলেজ পাস, রূপসী, রক্ষণশীল, বিনুনি বাঁধে....
প্রবীন সন্ন্যাসী এইবার সহযাত্রীকে বলেন সর্বনাশ! নৌকো ঘোরাও নৌকা ঘোরাও!!
পাড় থেকে মুখে ফেনা তুলে সে চেঁচিয়ে চলেছে.. আলতা পরে, রান্না জানে, গান জানে, ঈশ্বরভক্তি থাকতে হবে, স্মোক করবেনা, জিনস পরবেনা....
পড়িমড়ি করে নৌকা নিয়ে পালাতে পালাতে নবীনতর জিজ্ঞেস করলেন, কি ঘটল প্রভু? আলোকিত করুন।
দীর্ঘশ্বাস ফেললেন প্রবীণ। তারপর জরাগ্রস্তের মত জানালেন, বিগত সভ্যতায় হেমিংওয়ে নাম্নী কথাকার বোধকরি ঠিকই লিখেছিল। A man can be destroyed but not defeated
ওদিক থেকে চিৎকার ক্রমশ মিলিয়ে আসছে... মেয়ে মদ ছোঁবেনা, শহরের মেয়ে চলবেনা, বয়েসসীমা ২২ থেকে ২৫, মেয়ে গোলগাল হবে, রবীন্দ্র অনুরাগী হতে হবে, তুলসীমঞ্চে বাতি দিতে.......
মানব সভ্যতা প্রায় অবলুপ্ত। প্রায় আর কি। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বেশিরভাগ দুনিয়া জলের তলায়।
ইতস্ততঃ প্রাণের লক্ষণ বিদ্যমান। কিছু স্থানে দোকানপাট, লোকজন, গবাদীপশু দেখা যাচ্ছে। নতুন করে সভ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে মানবজাতি।
অবশ্য কতিপয় সন্ন্যাসী, সাধক, যোগীপুরুষ কৃচ্ছসাধণার বলে দিব্যি, অবলীলায় চলাফেরা করছেন এই কেয়ামতের দিনেও। তাঁদেরই দুজন নৌকায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন, আহারাদি যোগাড় করে।
অনেক দূরে নদীর কূলে ঈষৎ বামনাকৃতি একটি লোককে দেখা যায়। দুই সন্ন্যাসী সেদিকেই নৌকা বাইলেন। দৃষ্টিসীমার ভেতরে আসতে, একজন যেন চমকিত হয়ে ওঠেন।
- ও কে আচার্য, আপনার চেনা কেউ?
- হা ঈশ্বর, এই মহাপ্রলয়ের দিনে ওই অর্বাচীন নদীর তীরে কি করছে?
- ও কে ভদন্ত? কি উহার পরিচয়, আপনিই বা চঞ্চল হয়ে উঠলেন কেন?
ততক্ষণে নৌকা পাড়ের কাছে ভিড়ছে। তাদের দেখেই উন্মাদের মত দৌড়ে এলো ছোকরা। হাতে একটি চলভাষ। মানে ভাল বাংলায় যাকে বলে মোবাইল ফোন।
তারপর দুই সন্ন্যাসীকে উদ্দেশ্য করে চিৎকারপূর্বক গড়গড়িয়ে বলতে থাকলো
আমি কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরি করি, বেতন ২০ লাখ, সাড়ে পাঁচ ফুট, যাদবপুরে নিজ বাড়ি, ফুলগাজীর জমিদারবংশ, জাতে ক্ষত্রিয়, বাবা ঠিকাদার, সনাতনী হিন্দু মেয়ে চাই, বাপকে বড়োলোক হতে হবে, যে কলেজ পাস, রূপসী, রক্ষণশীল, বিনুনি বাঁধে....
প্রবীন সন্ন্যাসী এইবার সহযাত্রীকে বলেন সর্বনাশ! নৌকো ঘোরাও নৌকা ঘোরাও!!
পাড় থেকে মুখে ফেনা তুলে সে চেঁচিয়ে চলেছে.. আলতা পরে, রান্না জানে, গান জানে, ঈশ্বরভক্তি থাকতে হবে, স্মোক করবেনা, জিনস পরবেনা....
পড়িমড়ি করে নৌকা নিয়ে পালাতে পালাতে নবীনতর জিজ্ঞেস করলেন, কি ঘটল প্রভু? আলোকিত করুন।
দীর্ঘশ্বাস ফেললেন প্রবীণ। তারপর জরাগ্রস্তের মত জানালেন, বিগত সভ্যতায় হেমিংওয়ে নাম্নী কথাকার বোধকরি ঠিকই লিখেছিল। A man can be destroyed but not defeated
ওদিক থেকে চিৎকার ক্রমশ মিলিয়ে আসছে... মেয়ে মদ ছোঁবেনা, শহরের মেয়ে চলবেনা, বয়েসসীমা ২২ থেকে ২৫, মেয়ে গোলগাল হবে, রবীন্দ্র অনুরাগী হতে হবে, তুলসীমঞ্চে বাতি দিতে.......