• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু...

Meghnad

Epic Legend
Chat Pro User
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।

আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
 
একজন আমায় একটা কথা বলেছিলো। এইযে তথাকথিত জ্যোতিষী রা ১০ টা কথা বললে যদি ৮ জনের ক্ষেত্রে সেটা না মেলে, তাহলে তারা কারুর কাছে সেটা প্রচার করবে না। কিন্তু বাকি দুজন আরো ১০ জনের কাছে প্রচার করবে ওই জ্যোতিষীর ক্ষমতা। এটাই বিশ্বাসের মহিমা।
 
Last edited:
একজন আমায় একটা কথা বলেছিলো। এইযে তথাকথিত জ্যোতিষী রা ১০ টা কথা বললে যদি ৮ জনের ক্ষেত্রে সেটা না মেলে, তাহলে তারা কারুর কাছে সেটা প্রচার করবে না। কিন্তু বাকি দুজন আরো ১০ জনের কাছে প্রচার করবে ওই জ্যোতিষীর মহিমা। এটাই বিশ্বাসের মহিমা।
সেইটাই কাকা।
 
আমার সেই বিশ্বাস ভরসা আশা সব টুকু আছে... থাকতেই হবে.. সেটাই আমার সবথেকে আপনার....thokchi proti niyoto tobe হার manbo না....... নিশী দিন ভরসা rakhis hobei হবে ore মন hobei হবে..
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
Hal chero na bondhu.....jit hobei hobe.... :clapping:
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি …..…....হয়তো তাই ই
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
বেশ লাগলো
 
আমার সেই বিশ্বাস ভরসা আশা সব টুকু আছে... থাকতেই হবে.. সেটাই আমার সবথেকে আপনার....thokchi proti niyoto tobe হার manbo না....... নিশী দিন ভরসা rakhis hobei হবে ore মন hobei হবে..
Hal chero na bondhu.....jit hobei hobe.... :clapping:
বেশ লাগলো
ধন্যবাদ :angel:
 
আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি …..…....হয়তো তাই ই
অনেকে হয়, যারা হয় তারা তাই রয়ে যায়। যারা আবার সাহস করে, বন-পাহাড়-ঝড়না তাদেরই খুজে নেয়৷
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
যে বিশ্বাস মনে ঢুকেছে, সেটাকে যত্নে রাখো নাদ, সেটিকে কখনো অবিশ্বাস করোনা, দরকার পড়লে ধোঁয়া টানো, কিন্তু সময় এর সাথে যা হয় তা হবারই ছিল।
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
তোমার পজিটিভ চিন্তা আমাকে মুগ্ধ করে
 
যে বিশ্বাস মনে ঢুকেছে, সেটাকে যত্নে রাখো নাদ, সেটিকে কখনো অবিশ্বাস করোনা, দরকার পড়লে ধোঁয়া টানো, কিন্তু সময় এর সাথে যা হয় তা হবারই ছিল।
সঠিক, টিন্টিন। ভাল পরামর্শ।
তোমার পজিটিভ চিন্তা আমাকে মুগ্ধ করে
তুমি ছিলে বলেই আমি আছি, গুরু
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
কঠিন....চেষ্টা টা থাক
 
আমি সাধারণত যখন বলতে পারি না, তখন লিখি। আগে বিভিন্ন জায়গায় লিখতাম। নানান ভাগ্যচক্রে এখানেই আছি। এখন এখানেই লিখি। আমার লেখা প্রতিটি কথা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কারও শুনতে বা পড়তে হবে এমন কোনও কারণ নেই। কেউ যদি এই থ্রেডে ঢুকেই থাকেন, চাইলে ইগ্নোর করতে পারেন। (যেহেতু বেঙ্গালি রুমে লোক অনেক বেশি এখন, তাই এই ভূমিকা। শান্তি)

আমরা আশা করতে ভয় পাই। বারবার বিভিন্ন জায়গায় আশা ভঙ্গ হয়ে হয়ে আর আশা করতে সাহস থাকে না। আশা ভঙ্গ হবার অভ্যস্ততায় আমরা সার্কাসের সেই হাতিটা হয়ে পড়ি। একটা বাচ্চা হাতি, যাকে ছোটবেলায় একটা শেকল দিয়ে বাধা হয় একটা খুটিতে। যে হাজার চেষ্টা করেও পারে না সেই বাধন ছিড়তে। তখন তার সামর্থ্য থাকে না। যখন বড় হয়, তখন তার মনে বিশ্বাস থাকে যে এ বাধন ছেড়ার নয়। তাই তখন আর সে চেষ্টাই করে না বাধন ছেড়ার। জানেই না, এবার চাইলেই সে ছিড়ে ফেলতে পারত। আমরা আশা ভঙ্গ হতে হতে সেই হাতির মত হয়ে পরি। ভাবি, আর আশা করে লাভ নেই। হয়তো আরও একবার আশা ভঙ্গের ভয় ই পাচ্ছি যেটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু যদি এইবার আশাটা ভঙ্গ না হয় সত্যিই? যদি সত্যিই এবার বাধন ছিড়ে ফেলতে পারে হাতিটা, সে মুক্ত। কিন্তু সে সাহস করে নি আর কখনও।

আমি ভয়কে জয় করার পক্ষে। আমার সব রকমের ভয়কে আমি জয় করতে চাই। আমি আশা ভঙ্গের ভয়কেও জয় করব হয়তো কখনও। কারণ নইলে যে ওই হাতির সাথে কোনও পার্থক্য থাকে না। পাপুয়া নিউগিনির দিকে একটা উপজাতি আছে। ওদের ওঝার দারুণ ক্ষমতা, ওদের ওঝা কাউকে যদি অভিশাপ দেয় যে সে মরে যাবে আজ রাতেই, সে মরে যায়। কারণ ওরা ওদের ওঝাকে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই এটা ঘটে। একবার কিছু শ্বেতাঙ্গকে তারা বন্দী করে, কিন্তু ওঝার অভিশাপে কোনও শ্বেতাঙ্গই সেদিন মরে নি। ওদের কাছে বিশেষ কোনও এন্টিডট ছিল না। ওরা শুধু ব্যাপারটায় বিশ্বাস করে নি তাই।

বিশ্বাস, আশা বড় অপ্টিমিস্টিক গালভারি শব্দ। এগুলো পাওয়া কঠিন, রক্ষা হওয়া কঠিন। কিন্তু কোথাও হয় না এমন না। হয়, তবে বিরল। সস্তা লোকের কাছে এসব পাওয়া যায় না। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল, তার কাছে আপনি দামী তাই আপনাকে বিশ্বাস করেছে। ধরুন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করল না, তার কাছে আপনি সস্তা, তাই করে নি। আমি এভাবেই চিন্তা করি ব্যাপারটা।

যদি একটা ঢিল ছুড়লে আপনার লক্ষ্যভেদ হবে মনে হয়, তবে ঢিলটা ছুড়াই উচিৎ আপনার। লক্ষ্য ভেদ না হওয়াটা নিয়ে ভাবা একদম বোকামী। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তে একটা বিন্দু লক্ষ্য, তাই রেশিও হিসেবে প্রোবাবিলিটি ট্রি বানানো এক্ষেত্রে বোকামী। তবুও কেন ঢিল ছুড়বেন? কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনার লক্ষ্যভেদ হবে। নাক দিয়ে টেনে একটি শ্বাস নিন বুক ভরে, মুখ দিয়ে গরম বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দিন। এরপর ছুড়ে মারুন। এভাবেই হয়, খুব ছোটবেলার অভিজ্ঞতা। আম পেড়েছি বহুবার, বিশ্বাসে ভর করেই। আমরা বড় হবার চেষ্টায়, ছোটদের মত ভাবতে ভুলে যাই। এজন্যই এখন এতো ইতস্ততবোধ কাজ করে।

আমার কথা শুনুন। আশা করা, বিশ্বাস করা ছেড়ে দেবেন না। বারবার ভাঙবে, কিন্তু যেদিন রক্ষা হয়ে যাবে, আপনি সেদিন কাল্পনিক শান্তির বাস্তব রূপ খুঁজে পাবেন।


আপনি অমত পোষণ করতে পারেন। আমি বিতর্কে জড়াবো না। কারণ বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।
Nice
 
Top