Coca cola
Wellknown Ace
Thank you so muchexcited.. Can't wait
Ha nischai, same threadei rakhbo.Ha same thread ei rakho.. Ekdom jno onno thread korona
Thank you so muchexcited.. Can't wait
Ha nischai, same threadei rakhbo.Ha same thread ei rakho.. Ekdom jno onno thread korona
আমি: "অর্ধেক জীবন কতটা বাকি আর? আমি কিন্তু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো!"
ঊর্মি: "অর্ধেক জীবন তো শেষ হয়ে গাছে, এখন তো শঙ্করের চরণ ছুঁয়ে যাই চলছে।"
আমি : "ও তাই, আমি জানতাম না, তুমি তো খুব তাড়াতাড়ি পড়ো। এই তো সেদিন শুরু করলে।"
ঊর্মি: "না মশাই, এই সেদিন নয়, ঠিক পাঁচ সপ্তাহ আগে প্রথম আলাপ হয়েছিল, সেদিন থেকে অর্ধেক জীবন পড়া শুরু।"
আমি : "তুমি তো দেখছি দিন তারিখ সব মুখস্ত করে রেখেছো।"
ঊর্মি: "প্রথম আলাপের কথা কি কেউ ভোলে? তোমারও নিশ্চই মনে আছে, শুধু না মনে থাকার ভান করছো"
আমি: "আমার দিন ক্ষণ এত মনে থাকে না। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি মনে হয়, সব ভুলে যাচ্ছি। "
ঊর্মি: "ছাব্বিশেই যদি ভুলতে শুরু কারো, তবে ছত্রিশে গিয়ে কি করবে? তখন তো নিজের নামটাও ভুলে যাবে দিপুবাবু?"
আমি: "আর সব ভুলে যাবো, তবে তোমাকে ভুলবো না ঊর্মি, এ কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি । "
ঊর্মির সাথে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে চ্যাট করছিলাম বিছানায় শুয়ে শুয়ে। রাত প্রায় পৌনে বারোটা বাজে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে মধ্যরাত্রি অবধি আমাদের এই টেক্সট চ্যাট শুরু হয়েছে। ঊর্মি কাঁটায় কাঁটায় ১২ টায় ঘুমোয় আর সকল ৬:৩০ এ ওঠে। বলেছে ছোটবেলার অভ্যেস, এই বয়সে কোনোভাবেই নষ্ট হওয়া ঠিক না। কথা বলতে বলতে যেই রাত ১২ টার ঘন্টা বাজলো, ঊর্মি একটা সংক্ষিপ্ত "শুভরাত্রি" লিখে মোবাইল টার্ন অফ করে দেবে। আমার পাল্টা বিদায়ী মেসেজের জন্য অপেক্ষায় করবে না। প্রথম প্রথম ওর এই অভ্যাসটাকে একটু রূঢ় লাগলেও এখন বুজেছি এই ঘড়ির কাঁটা ধরে চলা নিয়মানুবর্তিতা ওর জীবনধরণেরই একটা অঙ্গ, সেই ছোটবেলা থেকে। ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, শোয়া, স্কুল কলেজে যাওয়া সব নিয়ম মেনে।
আমার কথা শুনে ঊর্মি কয়েক সেকেন্ডস কোনো উত্তর দিলো না, আমি একটু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি যখন কি হলো ভেবে, তখন ওর উত্তর এলো, "সে তো তোমাকে প্রথম দিন দেখেই বুঝেছি, লাইব্রেরীতে আমাকে দেখে যেরকম ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলে, পারলে যেন গিলে খাও, হা হা হা" . আমি বললাম, "আমি খেয়ে ফেলতে পারি ভেবে ভয় লাগেনি? পালাবার চেষ্টা করলে না যে?" . ঊর্মি লিখলো, "পালিয়ে আর কি হবে, যেখানে জাহাজকে নোঙ্গর ফেলতে হয়, সেখান থেকে তো আর পালানো যায় না".
আমি আর কি বলবো, নিজের মনের না বলা কথা যখন অন্যের হৃদয়ে পৌঁছে যায়, আর একটা আলাদা জায়গা পায়, তখন মনের মাঝে যে শান্তি নামে, সে কথা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সে শান্তি কেবল যে পেয়েছে, সেই বোঝে, অন্য কাউকে বোঝানো শক্ত। জীবনানন্দ দাশের ভাষায় বলা যায়,
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা,
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে
দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে
বলেছে সে, এতদিন কোথায় ছিলেন?
রাত বারোটা বাজতে আর দুমিনিট বাকি, আর একটু পরেই ঊর্মি মোবাইল সুইচ অফ করে দেবে। আমি আমার গায়ে চাদরটা নিলাম, তারপর ঊর্মিকে লিখলাম, "উর্মি, একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?", উত্তর এলো "কি কথা?". আমি বললাম, "লিখে বলা যাবে না, কথায় বলতে হবে, ফোন কারো।" ঊর্মি বললো, "দাঁড়াও, করছি" . একটু পরে ফোন রিং হওয়া শুরু হলো, আমি ফোন তুলে আস্তে আস্তে বললাম "তুমি এখন কি পরে আছো?". ঊর্মি কয়েক সেকেন্ড চুপ, সম্ভব প্রশ্নটার তাৎপর্য অনুধাবন করলো। তারপরেই মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে হেসে উঠে বললো, "ও হরি, এই কথা জানার জন্য তুমি মাঝ রাতে ফোন করলে? তা শোনো, আমি একটা ডাবল ব্রেস্টেড উলেন পি কোট পরে আছি, হা হা হা। হলো তো?" ঊর্মির কথায় স্পষ্ট রসিকতার আভাস । উলের তৈরী পি কোট তো লোকে শীতের দেশে বরফ পড়লে পরে। পশ্চিমবাংলার গরমে এইসব পরার কথা চিন্তাও করা যায় না। ঊর্মি আমাকে চুপ থাকতে দেখে বলে চললো, "এর পর তো জিজ্ঞেস করবে ব্রা পরেছি কিনা, প্যান্টি পরেছি কিনা। তারপর ওই অ্যাডাল্ট চ্যাটের লোকগুলোর মতো দুস্টুমি শুরু করবে, আমি ওর মধ্যে নেই। "
উর্মির কোথায় মনে পারলো কয়েকদিন আগে কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেছিলাম ওর কোনো প্রেসেন্ট বা পাস্ট রিলেশনশিপ আছে কিনা। ও বলেছিলো, মাস্টার্স পড়ার সময় একজন সহপাঠীর সাথে মাস দুয়েকের একটা সম্পর্ক হয়েছিল বটে, তবে সেটা মূলত মৌখিক স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল। তার থেকে বেশি দূর এগোয়নি। তার পর ছেলেটি বিদেশে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে গেল। ঊর্মি কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো যাওয়ার আগে। কিন্তু ঊর্মি কোনোদিনই বাবা মাকে ছেড়ে বিদেশ গিয়ে থাকতে চাইনি। ওর ভাই আর বৌদির দূরত্ব ইতিমধ্যেই বাবা আর মায়ের কাছে যথেষ্ট কষ্টদায়ক। ও আর সেই কষ্ট বাড়াতে চায় নি। ফলে ছেলেটির সাথে ওর সম্পর্কের ওখানেই ইতি। "
ছেলেটির সাথে সম্পর্ক কেটে যাওয়ার পর ঊর্মির কিছুদিন খুব নিঃস্বঙ্গ লাগতো। সদ্য তখন চাকরি শুরু করেছে, কিন্তু কাজে মন বসত না। তখনই একটি অ্যাডাল্ট চ্যাট সাইটএ টেক্সট বেসড চ্যাটিং এর শুরু। সেই হিসেবে শারীরিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা না থাকলেও যৌনগন্ধী কথাবার্তার সাথে ভালোই পরিচিত সে। কিছুদিন পর যখন নিসঃঙ্গতাটা গা সওয়া হয়ে গেল, তখন ওই সাইটে যাওয়া বন্ধ করে দিলো। তখন মনখারাপ লাগলেই লাইব্রেরি থেকে আনা গল্পের বই নিয়ে বসে পড়তো । দুতিন ঘন্টা বেশ বইয়ের মধ্যে কেটে যেত।
আমি চুপ করে আছি দেখে ঊর্মি আমাকে বললো, "তোমার দুস্টুমির বেলুনটাকে ফাটিয়ে দিলাম বলে দুঃখিত। তবে তোমাকে একটা কথা বলতে পারি। সেটা শুনলে হয়তো আজ রাতে তোমার মনখারাপটা একটু কম হবে। " আমি বললাম, "কি কথা ঊর্মি?". ঊর্মি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থাকলো, তারপর যখন কথা শুরু করলো, তখন ওর গলাটা কেমন একটু অন্যরকম শোনালো। "তুমি যখন গত সপ্তাহে ক্যাফেতে কফি খাবার সময় আমার হাতে তোমার হাতটা দিয়ে রেখেছিলে, তখন আমার কেমন একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো, ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। মনে হচ্ছিলো, তোমাকে জড়িয়ে ধরি। "
ফোনটা কেটে গেল আর আমি অন্ধকার ঘরে বিছানায় চুপ করে বসে রইলাম, রিং ব্যাক করার চেষ্টা করিনি, কারণ আমি জানি ঊর্মি আজ রাতের মতো ফোন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ওকে আর পাওয়া যাবে না।
[চলবে]
ভালো লাগছে । কলম চলুক ।Ta thik. Tomar kathar o joutikata ache.