পুনর্জন্ম নিয়ে হুলস্থুল কান্ড ঘটেছিল ভারতীয় উপমহাদেশেই। ১৯২৬ সালে ভারতের দিল্লিতে বাবু রঙ বাহাদুর মাথুরের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কন্যার নাম রাখা হয় শান্তি দেবী। চার বছর বয়স থেকেই তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ওই বয়সেই সে তার স্বামী আর সন্তানের কথা বলতে শুরু করে। সে বলতে থাকে তার বাড়ি মথুরায়। সেখানে তার স্বামী আর এক পুত্রসন্তান আছে। তার স্বামীর কাপড়ের দোকান আছে। প্রথম দিকে শান্তির বাবা-মা এসব কথায় বিশেষ পাত্তা দিতেন না। তারা মনে করলেন, এটা তাদের ছোট্ট মেয়ের কল্পনার জগৎ। বড় হলে আর থাকবে না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শান্তির গল্পের বিস্তার বাড়তেই থাকে। এতে চিন্তায় পড়ে যান শান্তির বাবা-মা এবং আত্মীয়রা।
দিল্লি থেকে মথুরার দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। শান্তি দেবী মথুরায় তার স্বামী, সন্তান এবং সংসারের বর্ণনা এত নিখুঁতভাবে দিতে থাকল যে, এটিকে আর ছোট্ট শিশুর মনের ভাবনা বলে মানা গেল না। শান্তি দেবী আরও একটু বড় হলে বাবা-মার সঙ্গে জিদ ধরে তাকে মথুরায় স্বামীর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।শান্তির বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে কেদারনাথ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর সন্ধান পাওয়া যায়। যার প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। শান্তি দেবীর দাবির কথা জেনে কেদারনাথও অবাক হন। পরে তাকে দিল্লিতে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি রাজি হয়ে যান। ১৯৩৫ সালের ১২ নভেম্বর কেদারনাথ তার বর্তমান স্ত্রী ও আগের পক্ষের পুত্র নাভনিদ লালকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে শান্তিদের বাড়িতে আসেন। শান্তির বাবা শান্তিকে পরীক্ষা করার জন্য কেদারনাথকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তার ভাসুর হিসেবে। কিন্তু কেদারনাথকে দেখামাত্র লজ্জায় লাল হয়ে যায় শান্তি। ভাসুরকে দেখে কেন লজ্জা পাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে শান্তি উত্তর দেয়, ইনি আমার ভাসুর নয়, আমার স্বামী। এরপর সে তার মায়ের দিকে ঘুরে বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম না সে দেখতে সুন্দর আর তার বাঁ দিকের গালে কানের কাছে একটা আঁচিল আছে। এরপর শান্তি তার মাকে আলুর পরোটা আর কুমড়োর তরকারি করতে বলে যা কেদারনাথের প্রিয় খাবার। কেদারনাথের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। কারণ এগুলো সত্যিই তার প্রিয় খাবার।পুত্র নাভনিদকে দেখে শান্তি খুবই আবেগপ্রবণও হয়ে পড়ে। সে তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। খাওয়া-দাওয়ার পর কেদারনাথের বর্তমান স্ত্রীকে দেখিয়ে শান্তি জিজ্ঞাসা করে, আপনি কেন তাকে বিয়ে করেছেন? আমরা কি ঠিক করেছিলাম না যে, আপনি অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না। এ কথার উত্তরে কেদারনাথ বাকরুদ্ধ হয়ে যান। দিল্লিতে থাকতেই কেদারনাথ লক্ষ করেন শান্তির আচার-আচরণ হুবহু তার মৃত স্ত্রী লুগদির মতো। এই কাহিনী ধীরে ধীরে পুরো ভারতে, পরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনারা কি মনে করেন কমেন্ট করে জানান সত্যি কি পুনর্জন্ম বা পূর্বজন্ম বলে কিছু আছে।
দিল্লি থেকে মথুরার দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। শান্তি দেবী মথুরায় তার স্বামী, সন্তান এবং সংসারের বর্ণনা এত নিখুঁতভাবে দিতে থাকল যে, এটিকে আর ছোট্ট শিশুর মনের ভাবনা বলে মানা গেল না। শান্তি দেবী আরও একটু বড় হলে বাবা-মার সঙ্গে জিদ ধরে তাকে মথুরায় স্বামীর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।শান্তির বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে কেদারনাথ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর সন্ধান পাওয়া যায়। যার প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। শান্তি দেবীর দাবির কথা জেনে কেদারনাথও অবাক হন। পরে তাকে দিল্লিতে আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি রাজি হয়ে যান। ১৯৩৫ সালের ১২ নভেম্বর কেদারনাথ তার বর্তমান স্ত্রী ও আগের পক্ষের পুত্র নাভনিদ লালকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে শান্তিদের বাড়িতে আসেন। শান্তির বাবা শান্তিকে পরীক্ষা করার জন্য কেদারনাথকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তার ভাসুর হিসেবে। কিন্তু কেদারনাথকে দেখামাত্র লজ্জায় লাল হয়ে যায় শান্তি। ভাসুরকে দেখে কেন লজ্জা পাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে শান্তি উত্তর দেয়, ইনি আমার ভাসুর নয়, আমার স্বামী। এরপর সে তার মায়ের দিকে ঘুরে বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম না সে দেখতে সুন্দর আর তার বাঁ দিকের গালে কানের কাছে একটা আঁচিল আছে। এরপর শান্তি তার মাকে আলুর পরোটা আর কুমড়োর তরকারি করতে বলে যা কেদারনাথের প্রিয় খাবার। কেদারনাথের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। কারণ এগুলো সত্যিই তার প্রিয় খাবার।পুত্র নাভনিদকে দেখে শান্তি খুবই আবেগপ্রবণও হয়ে পড়ে। সে তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। খাওয়া-দাওয়ার পর কেদারনাথের বর্তমান স্ত্রীকে দেখিয়ে শান্তি জিজ্ঞাসা করে, আপনি কেন তাকে বিয়ে করেছেন? আমরা কি ঠিক করেছিলাম না যে, আপনি অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না। এ কথার উত্তরে কেদারনাথ বাকরুদ্ধ হয়ে যান। দিল্লিতে থাকতেই কেদারনাথ লক্ষ করেন শান্তির আচার-আচরণ হুবহু তার মৃত স্ত্রী লুগদির মতো। এই কাহিনী ধীরে ধীরে পুরো ভারতে, পরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনারা কি মনে করেন কমেন্ট করে জানান সত্যি কি পুনর্জন্ম বা পূর্বজন্ম বলে কিছু আছে।