আমার জীবনচক্রটা ঘড়ির মত ঘুড়ছে সার্বক্ষনিক। কখনও থেমে থাকে না। মাঝে মাঝে একটু বিশ্রাম দরকার হয়। যখন পুরো বাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে, অন্ধকারে কেউ আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে না ঘড়িটা তার কাজে ফাকি দিচ্ছে কি না, তখন ঘড়িটাও একটু ফাকি দেয় কি তার কাজে? জানি না। আমি মাঝে মাঝে ফাকি দেই। চুপ করে বসে থেকে টুপটুপ করে নিজের সাথে কথা বলে নেই একটু। মন মত আলোচনা, ঘটনার ব্যবচ্ছেদ, অবশেষে যবনিকা সেরে নেই। এক চরিত্র বিশিষ্ট নাটক রচনা করি। একপাক্ষিক সংলাপ চালাই।
মাঝে মাঝে সংলাপের যোগান কুড়িয়ে নেই অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সামগ্রী থেকে। ঋণাত্মক চরিত্রের অংশটুকুও তখন নিজেই করি।
হালখাতা মিলাতে বসলে বাকির খাতায় নাম শুধু আমারই থাকে। অনেক দেনা জমে গেছে আমার। অথচ পাওয়ার কিছুই নেই। সহযোগীয় চাহিদামাফিক চলতি জীবনের উপোযোগ শুধুই ছিন্নতার দাবী জানায়। শকুন চিরকালই গোমৃত্যু কামনা করে। প্রত্যেকেই নিজের যৌনাঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা এবং গর্ব একই সাথে দুই ই অনুভব করছে। এসকল বাদ দিয়ে চর্চায় মগ্ন হলেও ভাল করত। কিন্তু হাতে লাঠি থাকলে চলতি পথের বাড়িয়ে থাকা গাছের পাতায় বাড়ি দেয়া লাগবেই। কিংবা পড়ে থাকা খালি বোতলে লাথি।
মাঝে মাঝে সময় একটা খানাখন্দের মুখোমুখি দাঁড় করায়। লাফিয়ে পড়তে ইচ্ছে হলেও ঝুলে থাকি পাথরে নখ গেঁথে। ঝাপিয়ে পড়লেই কাপিয়ে কিংবা না কাপিয়ে সবাইকে হাপিয়ে হারিয়ে যাওয়া হয়। ময়ুরের পালকের নিচে দাঁড়কাক হওয়াই ভাল।
চাইছে লোকে চেয়ে যাক। আমি কিছু বলি নি। বিজয়ের আনন্দেও বাইলের স্বাদ মুখে লাগে যখন অপর পক্ষ নিঃশব্দে অট্টহাসি হাসে। বহু দিন আগেই এই শিক্ষা পেয়েছি। ক্যালেন্ডার দিয়ে কাগজের প্লেন বানিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি তখনই। তাই দিনের হিসেব নেই।
নানান রকম খোঁচার বিচিত্র উল্কি মাখা গায়ে মলমপট্টির অপেক্ষা আমার সবসময়েরই। তেরছাভাবে কাঁটা ঘায়ে ঘায়েল হয়ে মাদার তেরেসার জায়গায় আমি লাভার তেরেসাকে চেয়েছি। তালিসমান কি এমনি এমনি বলা?
চেষ্টা চলুক। আমি দেয়ালে পা ঝুলিয়ে বসি। সিগারেট চিবিয়ে খাই। দেখে যাই।
মাঝে মাঝে সংলাপের যোগান কুড়িয়ে নেই অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সামগ্রী থেকে। ঋণাত্মক চরিত্রের অংশটুকুও তখন নিজেই করি।
হালখাতা মিলাতে বসলে বাকির খাতায় নাম শুধু আমারই থাকে। অনেক দেনা জমে গেছে আমার। অথচ পাওয়ার কিছুই নেই। সহযোগীয় চাহিদামাফিক চলতি জীবনের উপোযোগ শুধুই ছিন্নতার দাবী জানায়। শকুন চিরকালই গোমৃত্যু কামনা করে। প্রত্যেকেই নিজের যৌনাঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা এবং গর্ব একই সাথে দুই ই অনুভব করছে। এসকল বাদ দিয়ে চর্চায় মগ্ন হলেও ভাল করত। কিন্তু হাতে লাঠি থাকলে চলতি পথের বাড়িয়ে থাকা গাছের পাতায় বাড়ি দেয়া লাগবেই। কিংবা পড়ে থাকা খালি বোতলে লাথি।
মাঝে মাঝে সময় একটা খানাখন্দের মুখোমুখি দাঁড় করায়। লাফিয়ে পড়তে ইচ্ছে হলেও ঝুলে থাকি পাথরে নখ গেঁথে। ঝাপিয়ে পড়লেই কাপিয়ে কিংবা না কাপিয়ে সবাইকে হাপিয়ে হারিয়ে যাওয়া হয়। ময়ুরের পালকের নিচে দাঁড়কাক হওয়াই ভাল।
চাইছে লোকে চেয়ে যাক। আমি কিছু বলি নি। বিজয়ের আনন্দেও বাইলের স্বাদ মুখে লাগে যখন অপর পক্ষ নিঃশব্দে অট্টহাসি হাসে। বহু দিন আগেই এই শিক্ষা পেয়েছি। ক্যালেন্ডার দিয়ে কাগজের প্লেন বানিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি তখনই। তাই দিনের হিসেব নেই।
নানান রকম খোঁচার বিচিত্র উল্কি মাখা গায়ে মলমপট্টির অপেক্ষা আমার সবসময়েরই। তেরছাভাবে কাঁটা ঘায়ে ঘায়েল হয়ে মাদার তেরেসার জায়গায় আমি লাভার তেরেসাকে চেয়েছি। তালিসমান কি এমনি এমনি বলা?
চেষ্টা চলুক। আমি দেয়ালে পা ঝুলিয়ে বসি। সিগারেট চিবিয়ে খাই। দেখে যাই।