বাঙলা রুমে @Meghnad এর লেখা "খোলা দ্বার " গল্প টি পড়ার পর , আমি নিজের কল্পনাতে এই গল্প টি লিখে ছি , এটা পড়ার আগে বা পরে সবাই মেঘ এর লেখা টি পরো খুব সুন্দর লেখা ওর , এই গল্পের সাথে কানেকশন আছে .... @Meghnad
মিরসরাই এর একটি ছিপ ছিপে সস্তা হোটেলের ২০২ নং রুম এর ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসে অনামিকা , কপালে টিপ পরতে পরতে নিজেই নিজকে আনমনে দেখছে সে , অনুর ( ভালোবেসে সবাই আনু বলে ডাকে ) ঠোঁটে ফুটে উঠছে একটু হাসি কি একটা ভেবে লজ্জা পাচ্ছে সে, অলমোস্ট ব্যাকলেস ব্লাউজ ঢাকা খোলা পিঠে এলিয়ে পড়েছে ভিজে চুল , পড়নে একটা নীল রঙের শাড়ি |বেশ সুন্দরী অনু ,কলেজ এ ছেলেরা উঠতে বসতে eyefuck করে অনুকে। আর আজ ঠোঁটে হালকা লিপ্টিক চোখের কাজল ভেজা চুল আর থুতনির কাছে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম নাকি জল এক মায়াবী কামুক রূপ তৈরি করছে ,শাড়ির ফাঁকে অনুর গভীর নাভী টাও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট , বুকের কাছে শাড়ি টাও আজ একটু নিচু করে আটকানো, মোদ্দা কথা আজ এই সাজে অনুকে যদি কোনো ছেলে দেখে তাহলে আর সেই দিন ঘুমোতে পারবে না সে । অনু কে না পেয়ে 3 দিন পানু দেখে কাটিয়ে দিলেও ঘোর কাটবে না আজ এমন রূপ তার । "Knock knock" দড়জা তে টোকা পড়লো অনুর বুকের ভেতর টা যেন উত্তেজনা তে ভরে গেলো এক্সাইটমেন্ট ধরেই রাখতে পারছে না , আকাশ এসেগেছে যেই হোটেলে আজ ওরা উঠেছে তার একতলা টি রেস্তোরা , ওখানেই কিছু খাবার আনতে গেছিলো আকাশ , সেই ফাঁকে স্নান সেরে নিয়েছে অনু । অনু গিয়ে খিল টা খুলে দিল , ভেতরে ঢুকেই হা করে চেয়ে রইল তার প্রিয়সীর দিকে , কাজল রাঙা শান্ত চোখ, ভেজা খোলা চুল , বুকের ঢেউ , কোমরের ভাঁজ, নিতম্ব , ফর্সা গায়ে ফুটে ওঠা ওই নীল শাড়ির রং মাথা ঘুরে গেল আকাশের , অনু আকাশের অবস্থা বুঝে blush করছে। আকাশ আর অনামিকা দুজনেই কলেজে পরে হোস্টেলে থেকে । এই 6 মাস হলো ওদের সম্পর্ক বেশ গভীর হয়েছে এই ছুটিতে বাড়ি ফেরার আগে একটা দিন আকাশের সাথ কাটাবে সে ." সকাল 11 টা নাগাদ check in করে , রিসিপশন এর ওই ফোম এর ছারপোকা ওয়ালা চেয়ার , ওই গুল খর ,হলদে দাঁত ওয়ালা লোকটার নোংড়া চাউনি তে বিরক্ত হয়ে , শেষমেষ চাপা করিডোর ধরে 202 রুম এ এসে ফ্রেস হয়ে আকাশ কে দেখে খুশি আনু , 202 থেকে 206 রুম গুলোর একটি তেও কেউ নাই অফ season ar কারণে লোক নেই তারওপর renovation চলছে নাকি তাই এই দোতলার করিডোরের অতিথি শুধু ওরা দুজন , একটু নির্জন হোটেলে আসতেই আনু মত দিয়ে ছিল তা বলে এরকম " , আকাশের চাউনি তে লজ্জা পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আকাশের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো আনু, উপরে চেয়ে আকাশের ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট চেপে ধরতে চাওয়ার আশায় মুখ বাড়াতেই আকাশ বলে এই নাহ আগে কিছু খেয়ে নাও লক্ষ্মী টি , আনু অবাক হলো যেই ছেলেটা সব সময়ে কিস করার জন্য পাগল করে দেয় কত অভিমান দেখায় আজ এরম রিফিউজ করলো তাও আবার যেই হোটেলে ওরা একা আর কেউ নেই । একটু খটকা নিয়েই , একটু অপ্রস্তুত হয়ে হাসলো অনু , আকাশ কি যেন একটা ভেবে খাবার গুলো বের করে রাখলো টেবিলে একটা প্লাস্টিকের গ্লাসে জুস ঢেলে এগিয়ে দিল অনুর দিকে " এই নাও আনু এটা খাও আগে , যা গরম ঠান্ডা খেলে ভালো লাগবে " অনু কিছু না ভেবেই গ্লাস টা ঠোঁটে ছোঁয়ালো , আকাশ এর দিকে চেয়ে থেকে দের দসোহাগ কল্পনা করতে করতে অনুর চোখের পাতা যেনো ভারী হয়ে আসছে , "আআ...কা..... নামটা আর স্পট বলতে পারলোনা আনু চোঁখ টা বুঝে আসার আগে আকাশ এর ঠোঁটের কোনায় একটা অচেনা বাঁকা হাসি দেখে বুক টা যেনো , ছ্যাঁত করে উঠলো অনুর.......
" সন্ধ্যা সাড়ে আটটা... reception e কেউ নেই .... রুম 202 থেকে ভেসে আসছে কিছু মদ্যপ ছোকরার কোলাহল করিডর অন্ধকার , 202 এর দরজাটা আধ খোলা ঘরে সদ্য পাল্টানো সাদা বাতি টির তীব্র আলোর সিকি ভাগ এসে পড়ছে করিডোরে"
মাথাটা খুব ভারী অনুর কিসের একটা তীব্র যন্ত্রণা চোখ এখনো বন্ধ , পড়নের শাড়ি টি পড়ে রয়েছে মেঝেতে তে , ব্লাউজের একটা ছেড়া টুকরো খাটের পাশে পড়ে বাকিটা কোথায় জানা নেই , অনামিকার উলংগ বিবস্ত্র দেহ টি পড়ে রয়েছে খাটে। দুই পা বেয়ে বয়ে চুঁয়ে পড়ছে রক্ত , বুক ,পেট গলা কামড়ের দাগে দাগে যেন কলঙ্ক আঁকছে, কোনো হিংস্র পশু যেনো ছিঁড়ে , আঁচড়ে নষ্ট করেছে শরীর টা , ঠোঁটে আর লিপস্টিক নেই কালসিটে পড়েছে , ঠোঁটের কোণে একটু রক্ত , বিছানার চাদরে রক্তের ছোপ , মাটিতে বসে রয়েছে তিন জন ছোকরা যার মধ্যে দুজন আকাশ এর সহপাঠী Sid আর Rocky আর একজন বয়েসে একটু বড়ো, কলেজ পাশ এর পরও ইউনিয়নে থেকে যাওয়া কলেজ দাদা (বুড়ো দা) , হাতেই beer bottle, ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে করিডোর থেকে রুমে ঢুকলো আকাশ হাতে আরো মোদের বোতল । বুড়ো দা বলল আরে আয় আয়
{" যাহ শালা মেনে নিলাম তুই বেট জিতলি এই অনামিকা.. শালা এই mag*** টাকে বিছানা তে তোলার bet তুই জিতলি সেগো**** " আকাশ joint ফুঁকতে ফুঁকতে বললো chu*iona ওয়াড়া আজ খালি অনুকে ch**o শালা কলেজে খুব দেমাগ দেখিয়ে ঘুরত সতী সেজে, অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে আজ এই রে*** ..........." Sid মদের বোতল টা মুখে ঢেলে অনুর রক্তাক্ত শরীর টার দিকে চেয়ে হাসছে ... Rocky সিগারেটে আগুন দিল ."}
আকাশের গলা অনুর কানে আসছে জ্ঞান ফিরছে ওর দেহের তলদেশে তীব্র অসহ্য ব্যাথা ছাড়া আর কোনো কিছুই অনুভব করতে পারছে না সে , প্রচন্ড যন্ত্রণা শুধু যন্ত্রণা আগুন এর ছেঁকার মতো জ্বলছে যোনি কোষ , অস্পষ্ট কিছু শব্দ বেরিয়ে এলো , ঠোঁট দুটো কেপে উঠলো ,
মনে পড়ছে অনুর সব , "{অর্ধচৈতন্য আনু দেখেছে ওই বন্ধু রুপি হার্মাদ গুলো ছিঁড়ে খাচ্ছে তার শরীর কামড়ে আঁচড়ে হত্যা করছে অনুর অহং কে , আনু দেখেছে তার প্রিয় আকাশ দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইল হাতে ক্যামেরা বন্দি করছে আনুর বিবস্ত্র দেহ , বিকল হয়ে আসা কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দুটো করতে পারেনি আর্তনাদ , অস্পষ্ট ভাঙ্গা শব্দ গুলিও হত্যা হলো নেশাগ্রস্থ বিষাক্ত ঠোঁটের ছোবলে। যোনিদেশ থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তের সরল রেখা যেন আধখোলা চোখের জলের সাথে দন্ধ করছে কে কত সমান্তরাল, প্রতি কামড়ে কেপে কেপে উঠছে অনু , হাত দুটো কে শক্ত করে ধরে রেখেছে কেউ চুলো গুলোকে কে টেনে ধরে ছিঁড়ে ফেলছে যেন কেউ , প্রতি ধাক্কা তে দুমড়ে যাচ্ছে অণুর তলপেটের ভেতর টা গুঙিয়ে উটছে অণু , আর আধখোলা চোঁখে চেয়ে আছে .. আকাশের দিকে , *Click* *Click* আকাশের হতে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এ ঝলসে গিয়ে চোখ বুঝে নিয়ে ছিল আনু "} মনে পড়ছে সব সব টা মনে পড়ছে চোখে খুলে আর্তনাদ করে উঠলো আনু নিজের মুখ ঢেকে চিৎকার করে বললো আলো নেভায়ো , সঙ্গে সঙ্গে আবার ঝাঁপিয়ে পড়লো ওরা এবার লালোসার সাথে যুক্ত হলো অত্যাচার, ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ঠেসে চেপে দেওয়া হলো কান্না , রক্তাত্ব হলো স্তন যুগল ,বেল্ট এর চাবুকে নিতম্বে, ঊরুতে পড়লো কালশিটে , ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো অনুর ঠুনকো ভালোবাসা, sid দের ভাষায় "এই বার আকাশ নে তোর turn ch *********** ,...... ...
রাত তিনটে : জ্ঞান আধ ঘন্টা আগেই ফিরেছে , ওঠার ক্ষমতা ছিলনা ,কোনোমতে নামতে গিয়ে পড়ে গেলো খাট থেকে , দেখলো 4 জনেই বেঘোর নিদ্রায় , চারি দিকে খালি কাঁচের বোতলের ছড়াছড়ি , সিগারেটের ছাই ,আলো জ্বলছে ,দোড় আধ খোলা ,ড্রেসিং টেবিলের কোনটা ধরে কোনো রকমে উঠে দাঁড়াতেই আয়নায় নিজেকে দেখে শিউড়ে উঠল অনামিকা, বিধ্বস্ত চুল খাবলানো দেহ , ক্ষতবিক্ষত নকশা আঁকা মুখ , ছিঃ নিজেকেই দেখে ঘেন্না হলো , {"নেভাও , বন্ধ বন্ধ করো আলো বন্ধ করো নেভাও আলো " }বিরবির করতে করতে হঠাৎই পাথর হয়ে গেলো সে , কে জানে কোথা থেকে এত বল পেলো শরীরে সোজা হেঁটে গিয়ে রুম এর "খোলা দ্বার " বন্ধ করে ছিটকিনি আটকে দিল , মেঝে থেকে তুলে নিল মদ পড়ে অধভেজা নীল শাড়ী টা আর ভাঙ্গা কাঁচের একটি টুকরো , ঘুমন্ত আকাশ এর দিকে নিস্পলক চেয়ে থেকে নিভিয়ে দিল রুম এর আলো , খাটে শুয়ে গায়ে এলিয়ে দিল কাপড় টা , বাতি নেভানো বদ্ধ ঘরে ,কার একটা মোবাইল চার্জে দেওয়া সেই অতিব ক্ষীন আলোতে
খাটে অনুর শরীরের ওপর আধ ভেজা শাড়ি টা শুকচ্ছে পাখার হাওয়ায়, কিন্তু কাঁচের টুকরে ছেঁড়া হাতের শিরা গুলো বেয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে .........................
2 বছর পর .....
সীতাকুন্ড স্টেশন এর কাছে মিরসরাই , সস্তা হোটেল এর reception এ দাঁড়িয়ে এক যুবক বলছে "
** " “ছটু কই?”
“202 রুমের ছিটকিনি ভিতর থেকে আটকালি কি করে?”
ছটু বলে “না না, তালা বাইরে ঝুলানো”
যুবক এর প্রশ্ন “ ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকায় কি করে?”
ছটু বলে “উপরেই ছিটকিনি আছে।“
যুবক বলে “সে তো বুঝলাম কিন্তু আমি তো আটকাইনি। ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকানো ছিলো, এটা কি করে হল?”
ছটু বলে “তালা মারেন নাই? আচ্ছা আমি মাইরা দিমু নে” " ** (** এই লাইন গুলি @মেঘনাদ এর "খোলা দ্বার " থেকে নেওয়া )
যুবক বিরক্ত হয়ে উত্তর ন পেয়ে চলে গেল....
তাকে কেউ জানলো না যে
সেই রাতের পর মাঝে মাঝে কে যেন আলো নিভিয়ে বন্ধ করে দেয় রুম 202 এর "খোলা দ্বার " .
খুব নিশি রাতে আলো জ্বললে কেউ ক্ষীন ক্লান্ত শান্ত স্বরে বলে ওঠে নেভাও আলো নেভাও .....
সে স্বর এতো ক্লান্ত এত শান্ত এতই আহত যে , রুম এর মধ্যেই মিলিয়ে যায় তবে কে যেন আলোটা নিভিয়ে দেয় বার বার..........
কলমে ..... @misstti
এই লেখা টাতে অনেক spelling ar typing mistake সবাই ক্ষমা ঘেন্না করে দিও ... আমি এই প্রথম গল্প লিখলাম তাই জানিনা কতটা কি পেরেছি পরে জানিও সবাই ....
........ মিষ্টি
কলমে...@misstti
Poster design : @ misstti
বাঙলা রুমে @Meghnad এর লেখা "খোলা দ্বার " গল্প টি পড়ার পর , আমি নিজের কল্পনাতে এই গল্প টি লিখে ছি , এটা পড়ার আগে বা পরে সবাই মেঘ এর লেখা টি পরো খুব সুন্দর লেখা ওর , এই গল্পের সাথে কানেকশন আছে ....
@Meghnad এর গল্পের লিংক টি দিলাম
মিরসরাই এর একটি ছিপ ছিপে সস্তা হোটেলের ২০২ নং রুম এর ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসে অনামিকা , কপালে টিপ পরতে পরতে নিজেই নিজকে আনমনে দেখছে সে , অনুর ( ভালোবেসে সবাই আনু বলে ডাকে ) ঠোঁটে ফুটে উঠছে একটু হাসি কি একটা ভেবে লজ্জা পাচ্ছে সে, অলমোস্ট ব্যাকলেস ব্লাউজ ঢাকা খোলা পিঠে এলিয়ে পড়েছে ভিজে চুল , পড়নে একটা নীল রঙের শাড়ি |বেশ সুন্দরী অনু ,কলেজ এ ছেলেরা উঠতে বসতে eyefuck করে অনুকে। আর আজ ঠোঁটে হালকা লিপ্টিক চোখের কাজল ভেজা চুল আর থুতনির কাছে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম নাকি জল এক মায়াবী কামুক রূপ তৈরি করছে ,শাড়ির ফাঁকে অনুর গভীর নাভী টাও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট , বুকের কাছে শাড়ি টাও আজ একটু নিচু করে আটকানো, মোদ্দা কথা আজ এই সাজে অনুকে যদি কোনো ছেলে দেখে তাহলে আর সেই দিন ঘুমোতে পারবে না সে । অনু কে না পেয়ে 3 দিন পানু দেখে কাটিয়ে দিলেও ঘোর কাটবে না আজ এমন রূপ তার । "Knock knock" দড়জা তে টোকা পড়লো অনুর বুকের ভেতর টা যেন উত্তেজনা তে ভরে গেলো এক্সাইটমেন্ট ধরেই রাখতে পারছে না , আকাশ এসেগেছে যেই হোটেলে আজ ওরা উঠেছে তার একতলা টি রেস্তোরা , ওখানেই কিছু খাবার আনতে গেছিলো আকাশ , সেই ফাঁকে স্নান সেরে নিয়েছে অনু । অনু গিয়ে খিল টা খুলে দিল , ভেতরে ঢুকেই হা করে চেয়ে রইল তার প্রিয়সীর দিকে , কাজল রাঙা শান্ত চোখ, ভেজা খোলা চুল , বুকের ঢেউ , কোমরের ভাঁজ, নিতম্ব , ফর্সা গায়ে ফুটে ওঠা ওই নীল শাড়ির রং মাথা ঘুরে গেল আকাশের , অনু আকাশের অবস্থা বুঝে blush করছে। আকাশ আর অনামিকা দুজনেই কলেজে পরে হোস্টেলে থেকে । এই 6 মাস হলো ওদের সম্পর্ক বেশ গভীর হয়েছে এই ছুটিতে বাড়ি ফেরার আগে একটা দিন আকাশের সাথ কাটাবে সে ." সকাল 11 টা নাগাদ check in করে , রিসিপশন এর ওই ফোম এর ছারপোকা ওয়ালা চেয়ার , ওই গুল খর ,হলদে দাঁত ওয়ালা লোকটার নোংড়া চাউনি তে বিরক্ত হয়ে , শেষমেষ চাপা করিডোর ধরে 202 রুম এ এসে ফ্রেস হয়ে আকাশ কে দেখে খুশি আনু , 202 থেকে 206 রুম গুলোর একটি তেও কেউ নাই অফ season ar কারণে লোক নেই তারওপর renovation চলছে নাকি তাই এই দোতলার করিডোরের অতিথি শুধু ওরা দুজন , একটু নির্জন হোটেলে আসতেই আনু মত দিয়ে ছিল তা বলে এরকম " , আকাশের চাউনি তে লজ্জা পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আকাশের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো আনু, উপরে চেয়ে আকাশের ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট চেপে ধরতে চাওয়ার আশায় মুখ বাড়াতেই আকাশ বলে এই নাহ আগে কিছু খেয়ে নাও লক্ষ্মী টি , আনু অবাক হলো যেই ছেলেটা সব সময়ে কিস করার জন্য পাগল করে দেয় কত অভিমান দেখায় আজ এরম রিফিউজ করলো তাও আবার যেই হোটেলে ওরা একা আর কেউ নেই । একটু খটকা নিয়েই , একটু অপ্রস্তুত হয়ে হাসলো অনু , আকাশ কি যেন একটা ভেবে খাবার গুলো বের করে রাখলো টেবিলে একটা প্লাস্টিকের গ্লাসে জুস ঢেলে এগিয়ে দিল অনুর দিকে " এই নাও আনু এটা খাও আগে , যা গরম ঠান্ডা খেলে ভালো লাগবে " অনু কিছু না ভেবেই গ্লাস টা ঠোঁটে ছোঁয়ালো , আকাশ এর দিকে চেয়ে থেকে দের দসোহাগ কল্পনা করতে করতে অনুর চোখের পাতা যেনো ভারী হয়ে আসছে , "আআ...কা..... নামটা আর স্পট বলতে পারলোনা আনু চোঁখ টা বুঝে আসার আগে আকাশ এর ঠোঁটের কোনায় একটা অচেনা বাঁকা হাসি দেখে বুক টা যেনো , ছ্যাঁত করে উঠলো অনুর.......
" সন্ধ্যা সাড়ে আটটা... reception e কেউ নেই .... রুম 202 থেকে ভেসে আসছে কিছু মদ্যপ ছোকরার কোলাহল করিডর অন্ধকার , 202 এর দরজাটা আধ খোলা ঘরে সদ্য পাল্টানো সাদা বাতি টির তীব্র আলোর সিকি ভাগ এসে পড়ছে করিডোরে"
মাথাটা খুব ভারী অনুর কিসের একটা তীব্র যন্ত্রণা চোখ এখনো বন্ধ , পড়নের শাড়ি টি পড়ে রয়েছে মেঝেতে তে , ব্লাউজের একটা ছেড়া টুকরো খাটের পাশে পড়ে বাকিটা কোথায় জানা নেই , অনামিকার উলংগ বিবস্ত্র দেহ টি পড়ে রয়েছে খাটে। দুই পা বেয়ে বয়ে চুঁয়ে পড়ছে রক্ত , বুক ,পেট গলা কামড়ের দাগে দাগে যেন কলঙ্ক আঁকছে, কোনো হিংস্র পশু যেনো ছিঁড়ে , আঁচড়ে নষ্ট করেছে শরীর টা , ঠোঁটে আর লিপস্টিক নেই কালসিটে পড়েছে , ঠোঁটের কোণে একটু রক্ত , বিছানার চাদরে রক্তের ছোপ , মাটিতে বসে রয়েছে তিন জন ছোকরা যার মধ্যে দুজন আকাশ এর সহপাঠী Sid আর Rocky আর একজন বয়েসে একটু বড়ো, কলেজ পাশ এর পরও ইউনিয়নে থেকে যাওয়া কলেজ দাদা (বুড়ো দা) , হাতেই beer bottle, ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে করিডোর থেকে রুমে ঢুকলো আকাশ হাতে আরো মোদের বোতল । বুড়ো দা বলল আরে আয় আয়
{" যাহ শালা মেনে নিলাম তুই বেট জিতলি এই অনামিকা.. শালা এই mag*** টাকে বিছানা তে তোলার bet তুই জিতলি সেগো**** " আকাশ joint ফুঁকতে ফুঁকতে বললো chu*iona ওয়াড়া আজ খালি অনুকে ch**o শালা কলেজে খুব দেমাগ দেখিয়ে ঘুরত সতী সেজে, অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে আজ এই রে*** ..........." Sid মদের বোতল টা মুখে ঢেলে অনুর রক্তাক্ত শরীর টার দিকে চেয়ে হাসছে ... Rocky সিগারেটে আগুন দিল ."}
আকাশের গলা অনুর কানে আসছে জ্ঞান ফিরছে ওর দেহের তলদেশে তীব্র অসহ্য ব্যাথা ছাড়া আর কোনো কিছুই অনুভব করতে পারছে না সে , প্রচন্ড যন্ত্রণা শুধু যন্ত্রণা আগুন এর ছেঁকার মতো জ্বলছে যোনি কোষ , অস্পষ্ট কিছু শব্দ বেরিয়ে এলো , ঠোঁট দুটো কেপে উঠলো ,
মনে পড়ছে অনুর সব , "{অর্ধচৈতন্য আনু দেখেছে ওই বন্ধু রুপি হার্মাদ গুলো ছিঁড়ে খাচ্ছে তার শরীর কামড়ে আঁচড়ে হত্যা করছে অনুর অহং কে , আনু দেখেছে তার প্রিয় আকাশ দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইল হাতে ক্যামেরা বন্দি করছে আনুর বিবস্ত্র দেহ , বিকল হয়ে আসা কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দুটো করতে পারেনি আর্তনাদ , অস্পষ্ট ভাঙ্গা শব্দ গুলিও হত্যা হলো নেশাগ্রস্থ বিষাক্ত ঠোঁটের ছোবলে। যোনিদেশ থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তের সরল রেখা যেন আধখোলা চোখের জলের সাথে দন্ধ করছে কে কত সমান্তরাল, প্রতি কামড়ে কেপে কেপে উঠছে অনু , হাত দুটো কে শক্ত করে ধরে রেখেছে কেউ চুলো গুলোকে কে টেনে ধরে ছিঁড়ে ফেলছে যেন কেউ , প্রতি ধাক্কা তে দুমড়ে যাচ্ছে অণুর তলপেটের ভেতর টা গুঙিয়ে উটছে অণু , আর আধখোলা চোঁখে চেয়ে আছে .. আকাশের দিকে , *Click* *Click* আকাশের হতে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এ ঝলসে গিয়ে চোখ বুঝে নিয়ে ছিল আনু "} মনে পড়ছে সব সব টা মনে পড়ছে চোখে খুলে আর্তনাদ করে উঠলো আনু নিজের মুখ ঢেকে চিৎকার করে বললো আলো নেভায়ো , সঙ্গে সঙ্গে আবার ঝাঁপিয়ে পড়লো ওরা এবার লালোসার সাথে যুক্ত হলো অত্যাচার, ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ঠেসে চেপে দেওয়া হলো কান্না , রক্তাত্ব হলো স্তন যুগল ,বেল্ট এর চাবুকে নিতম্বে, ঊরুতে পড়লো কালশিটে , ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো অনুর ঠুনকো ভালোবাসা, sid দের ভাষায় "এই বার আকাশ নে তোর turn ch *********** ,...... ...
রাত তিনটে : জ্ঞান আধ ঘন্টা আগেই ফিরেছে , ওঠার ক্ষমতা ছিলনা ,কোনোমতে নামতে গিয়ে পড়ে গেলো খাট থেকে , দেখলো 4 জনেই বেঘোর নিদ্রায় , চারি দিকে খালি কাঁচের বোতলের ছড়াছড়ি , সিগারেটের ছাই ,আলো জ্বলছে ,দোড় আধ খোলা ,ড্রেসিং টেবিলের কোনটা ধরে কোনো রকমে উঠে দাঁড়াতেই আয়নায় নিজেকে দেখে শিউড়ে উঠল অনামিকা, বিধ্বস্ত চুল খাবলানো দেহ , ক্ষতবিক্ষত নকশা আঁকা মুখ , ছিঃ নিজেকেই দেখে ঘেন্না হলো , {"নেভাও , বন্ধ বন্ধ করো আলো বন্ধ করো নেভাও আলো " }বিরবির করতে করতে হঠাৎই পাথর হয়ে গেলো সে , কে জানে কোথা থেকে এত বল পেলো শরীরে সোজা হেঁটে গিয়ে রুম এর "খোলা দ্বার " বন্ধ করে ছিটকিনি আটকে দিল , মেঝে থেকে তুলে নিল মদ পড়ে অধভেজা নীল শাড়ী টা আর ভাঙ্গা কাঁচের একটি টুকরো , ঘুমন্ত আকাশ এর দিকে নিস্পলক চেয়ে থেকে নিভিয়ে দিল রুম এর আলো , খাটে শুয়ে গায়ে এলিয়ে দিল কাপড় টা , বাতি নেভানো বদ্ধ ঘরে ,কার একটা মোবাইল চার্জে দেওয়া সেই অতিব ক্ষীন আলোতে
খাটে অনুর শরীরের ওপর আধ ভেজা শাড়ি টা শুকচ্ছে পাখার হাওয়ায়, কিন্তু কাঁচের টুকরে ছেঁড়া হাতের শিরা গুলো বেয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে .........................
2 বছর পর .....
সীতাকুন্ড স্টেশন এর কাছে মিরসরাই , সস্তা হোটেল এর reception এ দাঁড়িয়ে এক যুবক বলছে "
** " “ছটু কই?”
“202 রুমের ছিটকিনি ভিতর থেকে আটকালি কি করে?”
ছটু বলে “না না, তালা বাইরে ঝুলানো”
যুবক এর প্রশ্ন “ ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকায় কি করে?”
ছটু বলে “উপরেই ছিটকিনি আছে।“
যুবক বলে “সে তো বুঝলাম কিন্তু আমি তো আটকাইনি। ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকানো ছিলো, এটা কি করে হল?”
ছটু বলে “তালা মারেন নাই? আচ্ছা আমি মাইরা দিমু নে” " ** (** এই লাইন গুলি @মেঘনাদ এর "খোলা দ্বার " থেকে নেওয়া )
যুবক বিরক্ত হয়ে উত্তর ন পেয়ে চলে গেল....
তাকে কেউ জানলো না যে
সেই রাতের পর মাঝে মাঝে কে যেন আলো নিভিয়ে বন্ধ করে দেয় রুম 202 এর "খোলা দ্বার " .
খুব নিশি রাতে আলো জ্বললে কেউ ক্ষীন ক্লান্ত শান্ত স্বরে বলে ওঠে নেভাও আলো নেভাও .....
সে স্বর এতো ক্লান্ত এত শান্ত এতই আহত যে , রুম এর মধ্যেই মিলিয়ে যায় তবে কে যেন আলোটা নিভিয়ে দেয় বার বার..........
কলমে ..... @misstti
এই লেখা টাতে অনেক spelling ar typing mistake সবাই ক্ষমা ঘেন্না করে দিও ... আমি এই প্রথম গল্প লিখলাম তাই জানিনা কতটা কি পেরেছি পরে জানিও সবাই ....
........ মিষ্টি
কলমে...@misstti
Poster design : @ misstti
বাঙলা রুমে @Meghnad এর লেখা "খোলা দ্বার " গল্প টি পড়ার পর , আমি নিজের কল্পনাতে এই গল্প টি লিখে ছি , এটা পড়ার আগে বা পরে সবাই মেঘ এর লেখা টি পরো খুব সুন্দর লেখা ওর , এই গল্পের সাথে কানেকশন আছে ....
@Meghnad এর গল্পের লিংক টি দিলাম
খোলো দাড় (mystery)
সেবার আমরা ৬ জন বন্ধু পরিকল্পনা করেছিলাম সেমিস্টার ব্রেকে কোথাও ঘুড়তে যাব। জায়গা ঠিক করা নিয়েই লাগল যত বিপত্তি। কেউ সাগর দেখবে, কেউ নতুন শহর দেখবে। পরে অনেক আলোচনা করে ঠিক হল আমরা সবাই পাহাড়ে বেড়াতে যাব। এমন পাহাড়ে যাব যেখানে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর সাথে মিশে দুটো দিন কাটানো যাবে। যেখানে কোনও নেটওয়ার্ক...
www.chatzozo.com
Last edited: