Tanvir
Favoured Frenzy
আশা করি ভালো আছেন। লেখায় কোন সমস্যা থাকলে মাফ করে দিবেন। ঘটনাটি সত্য, আমার খুব কাছে এর বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। এই ঘটনাটি ব্ল্যাক ম্যাজিক সংক্রান্ত।
যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে,, পরের বাকি অংশটুকু দিব
আমি আমার বন্ধুর ভাষায় গল্পটি শেয়ার করছি। আমার এই ঘটনাটি সত্য ও গ্রামের লোকজন সবার কাছে এর সত্যতা আছে। যাই হউক আমি আমার মূল ঘটনায় চলে যায়। আমি কম্পিউটার অপারেটর। বাজারে যে কোন এক কম্পিউটারের দোকানে আমি কাজ করি। বলে রাখা ভাল যে আমি যে দোকানে কাজ করতাম আমার সেই দোকানদার হিন্দু। সে ২০১১ সালে জুন মাসের দিকে হিন্দু বিধান মতে বিয়ে করেন। আমরা ও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বিয়ের ৬, ৭ মাস পর আমার দোকান মালিক একদিন বিকাল বেলা তার স্ত্রী কে নিয়ে, ঘুরাঘুরি করতে আসেন বলফিল্ড নামক স্থানে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় ৭.৩০মিনিট বেজে যায়। তার কিছু দিন পর আমার দোকানদার ঠিক মত দোকানে আসে না, বাড়ি থাকে। আমি ফোন দিলে বলে আমি বাসায় আছি, তোমার বৌদির শরীর খারাপ। এভাবে ২ সপ্তাহ যায়। তার পরে একদিন সন্ধ্যা বেলা আমাকে মুটোফোনে বলে যে, তুমি একটা কবিরাজ নিয়ে দোকান বন্ধ করে বাসায় আসত তোমার বৌদির শরীর খারাপ। আমি আমাদের স্থানীয় হুজুরের সাথে করে নিয়ে তাদের বাসায় যায়। কিন্তু বাসার রাস্তায় আসার পরই কবিরাজ আমাকে বলে যে তুমি যে খানে আমাকে নিয়ে যাচ্ছ, আমি দুই দিন আগে এই বাসায় এসেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তুমি তাহলে একা একা যাও আমি চলে যাচ্ছি। হুজুর চলে গেল। আমার সাথে ছিল আমার ৩ বন্ধু,। আমার দোকানদারের বাসায় ঢুকলাম। কিন্তু আমরা ঢুকার আগে গঙ্গা জল আমাদের গায়ে ছিটিয়ে দিল। আমরা ঘরের ভিতরে দেখলাম বৌদির হাত পা বাধা। আর বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা। একটা হিন্দু মেয়ে কিভাবে কোরআন এর আয়াত পড়ছে। আমরা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। তখন তার শাশুড়ী তার মুখ চাপ দিয়ে ধরছে। আবার কিছুক্ষণ গুঙ্গাণি ও ঝাপাঝাপি এবং তার ভয়েস পুরুষ ছেলেদের মতো। হাত পা বাধা থাকলেও তার গায়ে যে এত শক্তি ছিল যে খাট পর্যন্ত নড়ে চড়ে উঠছে। বলে রাখি যে আমার দোকান মালিক এর বউ আমার নাম জানে কিন্তু আমাকে কখনো চোখে দেখেনাই। কিন্তু সে হঠাৎ করে আমার নাম ধরে আমার দিকে তাকিয়ে বলে যে, আমার জন্য ৭টচ নিয়ে আসোতো। আমি বললাম আমি এখন কোথায় পাব। আজ শনিবার বাজার ও বন্ধ হয়ে গেছে। তখন বৌদি বলল যে, তোর আমি বাজারে যে তে বলছিনা। তুই বাড়ির গেটের সামনে যাবি। দেখবি গেট এ দুই বার টুকা দিবে। কিন্তু টুকা দেওয়া ১ মিনিট পরে গেট খুলবি। আমি সেই ভাবে গেলাম। গিয়ে আমি গেটের সামনে দাড়ানোর সাথে সাথে গেটে দুইবার টোকার শব্দ। আমি কিছুক্ষণ পর গেট খুলে দেখি এক লিটারের একটি বরফ জমা সেভেন আপ। আমি ত দেখে অবাক। তার পর আমি সেভেন আপটি নিয়ে ঘরে ঢুকলাম। ঢুকার সময় আবার গঙ্গা জল ছিটাতে যাবে তখন ই বৌদি বলল যে না ওর শরীরে ছিটাস না ওকে ওজু করে আসতে বল। আমি চাই না আমার খাদ্যে হিন্দুদের নিয়ম নীতি থাকুক। আমি ওজু করে ঘরে ঢুকি। বরফ গলে গেলে আমি গ্লাসে করে সেভেন আপ নিয়ে দিয় সে খেয়ে নেয় ১ লিটারের সেভেন আপ সব গুলায়। তারপর ঘন্টা খানিক যায়। তার পর বৌদি বলে যে আমার বাধন খুলে দে। আমি কথা দিলাম আমি কিছু করব না। কেউ খুলতে রাজি হয় না কিন্তু আমি বললাম যে খুলে দেন। কিছু হলে আমার কাছ থেকে বুঝ নেবেন। তার পর খুলে দিল, তার হাত পায়ের বাধন। বৌদি উঠে বসল। আমার সাথে ও আমার সাথে থাকা ৩ বন্ধু কে বলল তোরা ঘরে থাকবি আর সবাই বাইরে চলে যাবি। তার কথা মতো সবাই বাইরে চলে গেল। আমরা ৪ বন্ধু ও বৌদি এক সাথে অনেক গল্প। এর মধ্যে দুই বন্ধু বাসায় চলে গেল। আমি আর যে বন্ধু ছিল বৌদির সাথে রয়েছি এবং ভালো ভাবেই সময় কাটছিল। কিন্তু যখন খাওয়ার জন্য দোকান মালিক এর মা ডাক দিল আমি খাওয়ার জন্য বাইরে আসলাম কিন্তু আরেক বন্ধু বৌদির সাথে আছে। আমি খেতে বসেছি তখন বৌদি চিল্লাচিল্লি শুরু করে। আর বলছে আমি কই এই বল্ েআমি খাওয়া অর্ধেক পথে উঠে এসে বৌদির কাছে গিলাম। আর বলল তুই আমার কাছ থেকে কোথাও যাবিনা। রাত ১২ টা বাজার সময় বলল আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে আমি চলে যাব কিন্তু আমি যাওয়ার আগে সালাম দিয়ে যাব। আর আসার সময় সালাম দিব তখন বুঝবি যে আমি এসেছি। এর মধ্যে আমাকে বলল যে আমার হাতপা বেধে দে। কারণ আমি না হয় ঠান্ডা হয়ে আছি কিন্তু আর যারা এর শরীরে প্রবেশ করবে তারা ভাল না তারা হিন্দু জিন তোদের এখানে পাঠবাড়ী আছে সেখান থেকে তাদের চালান দেওয়া। আমি বললাম চালান দেওয়া মানে। তখন সে বলল আমি আবার যখন আসব তখন সব বলব। আমি এখন চলে যায়। আমাকে সালাম দিয়ে চলে গেল। যাওয়ার সাথে সাথে দেখি বৌদি আবার আগের মত ব্যবহার করা শুরু করে দিছে। এরকম ভাবে বেশ কিছু ক্ষণ যাওয়ার পর ৩.৩০ আনুমানিক সময় সালাম এর আওয়াজ শুনলাম। তখন আমি সালামের জবাব দিয়। তার পরে বলে হাত পায়ের বাধন খুলে দে। আমি খুলে দিলাম। কিন্তুবৌদি সুধু আমার সাথেই কথা বলত আমার বন্ধু সাথে কোন কথা বলতনা। আমি বললাম আপনি যে বললেন আসার পরে চালান এর মানে কি বলবেন। তা বলেন তো। তখন বৌদির মুখে সে বলল দেখ। আমরা স্বইচ্ছা মানুষের শরীরে প্রবেশ করিনা। আমাদেরকে চালান দেওয়া হয়েছে। চালান হলো ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু। আর এই মেয়ের ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হয়েছে। আর ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে তার প্রেমিক () সে তাদের ওখানে কালী পূজা করে (নাম বলেনি) তার কাছে গিয়ে এই মেয়ে ক্ষতি করার জন্য ১১ টি জিন তার মধ্যে আমরা দুই জন মুসলমান। আর বাকী জীন গুলো বিধর্মী ছিল। তখন বাসার সবাই এই কথা শুনল শুনার পরে বৌদির বাপের কাছে ফোন দিয়ে সব ঘটনা বলে। তখন বৌদি বলে যে তোরা ঐ ছেলের কোন খোজ পাবিনা সে এখন ঐ কালী সাধকের নিকট আছে। তখন আমি বললাম আচ্ছা বৌদিকে কি ভাবে মুক্তি করা যায়। তিনি বলল যে আমি যে ভাবে বলি যদি সেই ভাবে কাজ করতে পারিস তাহলে আমরা মুক্তি পাব আর মুক্তি পেয়েই তোদের এই মেয়েকে বাচাব। আমিও চাইনা যে আমার দ্বারা কোন মানুষের ক্ষতি হউক। তখন আমি বললাম যে তাহলে বলেন আমাদের কি করতে হবে। আমি আমার বন্ধু কে বললাম যে মোবাইলে রেকর্ড কর। আমার বন্ধু আমার কথা মত কাজ শুরু করল। ও মোবাইলে সব কথা গুলো রেকর্ড করতে থাকল। এসব বলার পরে আমরা অনেক ক্ষণ ধরে গল্প করলাম। ফজরের আযান দিতে বাকি কিছুক্ষণ। তখন বৌদির উপর ভর করা জীন টি বলল ফজরের আযান দিবে আর আমার নামায পড়াতে চলে যেতে হবে নামায শেষ হলে আমি আবার আসব। কিন্তু তোরা আমার কথা মত কাজ করবি। আমি বললাম ঠিক আছে। সে আমাকে সালাম দিয়ে চলে গেল। সকাল বেলা ৭.০০ দিকে আমি দোকান মালিক, তার মা, বাবা, বৌদির মা, বাবা কে সব গুলো বলি। যদিও তারা আগের থেকে যানত সব। কিন্তু তাও বললাম। আমার বন্ধু বাসায় চলে যাবার আগে তার মোবাইলে রেকর্ড করা কথা গুলো বøুতুথ এর মাধ্যমে আমাকে ট্রান্সফার করে। আমি রেকর্ড অনুযায়ী ও তার বলা কথা মতো বলি। দোকান মালিক এর পরিবারের লোক জন আমার কথা মত যে ঠিকানা বলে সেখানে তাড়াতাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হল। আর জুম্মার নামাযের আগে পৌছাতে হবে। বলে রাখা ভাল (মুসলমান জ্বিন ২জন ছিল) একটি ছোট একটি বড়। ছোট জ্বিনটি মসজিদ এ বৌদির শরীর হতে মুক্তি পাবে। আমরা এক সময় মসজিদে পৌছে গেলাম। আর মসজিদ এর চারপাশে ঘুরপাক দেওয়ার পর মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করলাম। বললে বিশ্বাস করবেন না। এত গরমের ভিতরে মসজিদ এর ভিতরে এত ঠান্ডা এসি তো এর কাছে কিছু না। যাই হোক আমরা সেখান থেকে বের হয়ে তার কথা মতো পরের কাজে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কিন্তু মাঝ পথে আমার দোকানদার এর মা ও তার পরিবারের লোকজন বলল এই ভাবে আমরা আমাদের বৌমাকে ঘুরাতে পারিনা। আমরা এখন সরা সরি কবিরাজ বাড়ি যাব। আমি তখন বললাম না। আর একটি জায়গা বাকি আছে আগে সেখানে ঘুরে আসি তার পরে যাব। তখন দোকান মালিক এর মা বলল না আগে কাবিরাজ বাড়ি যাব তার পরে যাব। আমি আর কি করব নির্বোধের মত তাদের সাথে গেলাম। চুরমাণ কাঠি কবিরাজ বাড়ি। মহিলা কবিরাজ। তার ওখানে যাওয়ার পর কবিরাজ এর নিজস্ব রুম এ নিয়ে গেল। সেখানে অনেক মানুষ। বিভন্ন যায়গা হতে লোকজন আসে। আমরা ভাগ্যক্রমে আগে সিরিয়াল পেলাম। তার উপর যথারীতি কবিরাজী কাজ শুরু হলো কিন্তু কবিরাজ ব্যার্থ হচ্ছে। কবিরাজ শেষমেষ না পেরে বাইরে এসে বলে এটা আমার দ্বারা হবে না। আমি যখনই দোয়া কালাম পড়ে তার গায়ে ফু দিচ্ছ সে উল্টো আমার গায়ে দিচ্ছে। আর কাবিরাজকে বলল যে আমি তো যেতে চেয়েছিলাম এবং এই মেয়ের উপকার ও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এখানে নিয়ে আসলো। আর সেই সাথে আমার নাম বলল যে আমি ওকে কে সব বলেছি।
যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে,, পরের বাকি অংশটুকু দিব