ব্রয়লার মুরগি কৃত্রিম উপায়ে বড় হওয়ার ফলে এতে প্রচুর চর্বি তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত যারা ব্রয়লার মুরগি খেয়ে থাকেন, তাদের কোলেস্টেরলজনিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আমিষের ঘাটতি মেটাতে আমাদের প্রথম পছন্দ মাছ-মাংস। মাংসের ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রয়লার মুরগি। নরম, সুস্বাদু এবং দামে কম হওয়ায় প্রায় সবাই এটি খেতে পারে। বাসা কিংবা রেস্তোরাঁ সব জায়গায়ই ব্রয়লার মুরগির ব্যবহার দেখা যায়। তবে নানা কারণেই এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
দ্য ইস্টম্যান এগ ডটকমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই কিছু ক্ষতির কথা। চলুন জেনে নেই-
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হ্রাস
ব্রয়লার মুরগি বড় করা হয় পোলট্রিতে। আর এই মুরগিগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নানা রকম অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। ব্রয়লার মুরগির মাংসের সঙ্গে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরেও ঢোকে। ফলে শরীরে যে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থাকে তা ধীরে ধীরে কমে যায়। তাই এসব মুরগির মাংস নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
কেমিক্যালের ব্যবহার
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে পোলট্রি মুরগিগুলোকে যে উপায়ে বড় করা হয় তা বিজ্ঞানসম্মত নয়। মুরগিগুলোকে দ্রুত বড় আর ভারী স্বাস্থ্যের করে তুলতে কেমিক্যাল পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। এসব কেমিক্যাল আমাদের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে যাদের নানা রকম অসুখ-বিসুখ রয়েছে বা যারা সব সময় ওষুধ খান তাদের উচিত ব্রয়লার মুরগি পরিহার করা। কারণ কেমিক্যাল ওষুধের গুণমান কমিয়ে দেয়।
ফুড পয়জনিং
ব্রয়লার মুরগিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া ফুড পয়জনিংয়ের অন্যতম কারণ। বয়স্কদের পাশাপাশি বাচ্চারা বেশির ভাগ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয় ব্রয়লার মুরগিতে তৈরি বিভিন্ন খাবার খেয়ে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
ব্রয়লার মুরগি কৃত্রিম উপায়ে বড় হওয়ার ফলে এতে প্রচুর চর্বি তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত যারা ব্রয়লার মুরগি খেয়ে থাকেন, তাদের কোলেস্টেরলজনিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি