আজ ১২ই মে চলে গেল। মালার আরেকটি জন্মদিন, মালা আর অঞ্জনের বিচ্ছেদের আরেকটি বছর। আমি এই দিনটিকে সেলিব্রেট করতাম। আজ করা হয় নি।
আজ খুব ঘুমাতে ইচ্ছে করছে। কাল করে নি। অথচ আজকের রাতটা জেগে থাকার মত রাত। সম্ভবত আমার পীতজ্বড় হয়েছে। জন্ডিসকে কি পীতজ্বড় বলে? জানি না।
না ঘুমানো চোখে লালচে ভাব থাকার কথা। কিন্তু রক্তগুলো চোখে না এসে মগজের কোনও ধমনীতে লুকিয়ে আছে। তাই চোখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। লজ্জায় পর্দাগুলো ফেলে দিতে চাইছে। আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কত সুন্দর বাতাস আজকে বাইরে, কিন্তু কেমন শীত শীত লাগে। অথচ গ্রীষ্মের উষ্ণ বাতাসে ভাল লাগার কথা। এরকম হয়, একেক জনের মুখে একেক স্বাদ। আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কোথাও কোনও একটা ফুল ফুটেছে। পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দার বাগানে হয়তো। দেখতে সুন্দর, কিন্তু আমার নাকের সুগন্ধ বুকের ভেতরের এটমোস্ফেয়ারকে বিষাক্ত করছে বলে মনে হচ্ছে। সুগন্ধীও বিষাক্ত লাগে, আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কখনও কখনও বলার জন্য খুঁজে পাই না। কখনও বলার জিনিস খুঁজে পাই না। কখনও ভাষা, কখন ভালবাসা খুঁজে পাই না। লাইটারটার আগুন ঠান্ডা হয়ে গেছে। লাইটারটারও সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
সুস্থ আছে একমাত্র সিগারেট। অঞ্জন বলেছে, অবশেষে সিগারেট, তুমি আমি সব্বাই।
আসলেই সবাই একদিন পুড়ে যাব। থাকবে না তুমিও, থাকব না আমিও। থাকবে শুধু স্মৃতি। তাহলে ভাল অংশটূকুই থাকুক না। মালার জন্মদিন নাকি বিরহ কি স্মরণে মালা গান কে জানে। মালা যখন, ছিড়বেই। আমি ভালটুকুই মনে রাখি।
আবোল তাবোল খই ফোঁটা বোল। যা তা জাতা। গালে জুতা। সব কই কে জানে, বহমান রেখে মুর্তিমান ঘুরে সব বর্তমানে জমাচ্ছি। পড়ে পড়লে লজ্জা পাবো এবং ডিলিট করে দেব, মাথাটা ফুল গেছে। এসব কথা খোলাখুলি বলে দিলেই ভাল, উড়ে যেত। কিন্তু ফাঁকা ঘরে প্রতিধ্বনি বড় বেশি কানে বাজে। তাই এখানেই সই।
হঠাৎ একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, অঞ্জন খুব ভাগ্যবান একদিক থেকে। মালা কবে চলে গেল জানে। তাই অঞ্জনের জন্য আমিও এইদিন বলি, "এই ১২ই মে তুমি চলে গিয়েছিলে জীবন থেকে আমার।" কিন্তু... আমি তো আমার ব্যাপারে জানি না। আমি কবে বলব? আমার সাথেই বা কে বলবে।
বিশাল এক সাগর, ছিপ ফেলে বসে আছি। ওদিকে জাল ছেঁড়া পাল ছেঁড়া আলকাতরা উড়ে গেছে, বইঠা পড়ে গেছে। ছই নেই, গলুই নেই, নদীর মাঝে সাতারু মাঝি মাছ ফেলে খাবি খায়।
আজ খুব ঘুমাতে ইচ্ছে করছে। কাল করে নি। অথচ আজকের রাতটা জেগে থাকার মত রাত। সম্ভবত আমার পীতজ্বড় হয়েছে। জন্ডিসকে কি পীতজ্বড় বলে? জানি না।
না ঘুমানো চোখে লালচে ভাব থাকার কথা। কিন্তু রক্তগুলো চোখে না এসে মগজের কোনও ধমনীতে লুকিয়ে আছে। তাই চোখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। লজ্জায় পর্দাগুলো ফেলে দিতে চাইছে। আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কত সুন্দর বাতাস আজকে বাইরে, কিন্তু কেমন শীত শীত লাগে। অথচ গ্রীষ্মের উষ্ণ বাতাসে ভাল লাগার কথা। এরকম হয়, একেক জনের মুখে একেক স্বাদ। আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কোথাও কোনও একটা ফুল ফুটেছে। পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দার বাগানে হয়তো। দেখতে সুন্দর, কিন্তু আমার নাকের সুগন্ধ বুকের ভেতরের এটমোস্ফেয়ারকে বিষাক্ত করছে বলে মনে হচ্ছে। সুগন্ধীও বিষাক্ত লাগে, আমার সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
কখনও কখনও বলার জন্য খুঁজে পাই না। কখনও বলার জিনিস খুঁজে পাই না। কখনও ভাষা, কখন ভালবাসা খুঁজে পাই না। লাইটারটার আগুন ঠান্ডা হয়ে গেছে। লাইটারটারও সম্ভবত পীতজ্বড় হয়েছে।
সুস্থ আছে একমাত্র সিগারেট। অঞ্জন বলেছে, অবশেষে সিগারেট, তুমি আমি সব্বাই।
আসলেই সবাই একদিন পুড়ে যাব। থাকবে না তুমিও, থাকব না আমিও। থাকবে শুধু স্মৃতি। তাহলে ভাল অংশটূকুই থাকুক না। মালার জন্মদিন নাকি বিরহ কি স্মরণে মালা গান কে জানে। মালা যখন, ছিড়বেই। আমি ভালটুকুই মনে রাখি।
আবোল তাবোল খই ফোঁটা বোল। যা তা জাতা। গালে জুতা। সব কই কে জানে, বহমান রেখে মুর্তিমান ঘুরে সব বর্তমানে জমাচ্ছি। পড়ে পড়লে লজ্জা পাবো এবং ডিলিট করে দেব, মাথাটা ফুল গেছে। এসব কথা খোলাখুলি বলে দিলেই ভাল, উড়ে যেত। কিন্তু ফাঁকা ঘরে প্রতিধ্বনি বড় বেশি কানে বাজে। তাই এখানেই সই।
হঠাৎ একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, অঞ্জন খুব ভাগ্যবান একদিক থেকে। মালা কবে চলে গেল জানে। তাই অঞ্জনের জন্য আমিও এইদিন বলি, "এই ১২ই মে তুমি চলে গিয়েছিলে জীবন থেকে আমার।" কিন্তু... আমি তো আমার ব্যাপারে জানি না। আমি কবে বলব? আমার সাথেই বা কে বলবে।
বিশাল এক সাগর, ছিপ ফেলে বসে আছি। ওদিকে জাল ছেঁড়া পাল ছেঁড়া আলকাতরা উড়ে গেছে, বইঠা পড়ে গেছে। ছই নেই, গলুই নেই, নদীর মাঝে সাতারু মাঝি মাছ ফেলে খাবি খায়।