• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

টুটু

A

arunbose

Guest
**** টুটু *******
Arun Bose


রাত ৯ টা হবে ,আনমনে হেটে হেটে বাড়ি ফিরছিলাম হটাৎ পেছন থেকে সার্ট
ধরে এক টান ..থমকে দাড়িয়ে পেছন ফিরে দেখি ফর্সা, একটা পিঙ্ক কালারের শাড়ি পরা, কপালে একটি কুমকুমের টিপ ঝকঝকে একটি মেয়ে আমার সার্ট টা
ধরে দাড়িয়ে আছে । আমি চিনি মেয়ে টিকে নাম টুটু ভালো নাম মমতা , আমি চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকাতেই ফিক করে হেসে বলল ..আপনার খুব ডাট তাই না ?
দেখা হলেও কথা বলেন না কেন ? ...এই কথাটা মনে পরে যেতেই সিনেমার
ফ্ল্যাশ ব্যাকের মত আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমার সেই হারিয়ে
যাওয়া সদ্য গোফের রেখা ওঠা কিশোর বয়েসের হারানো স্মৃতি । আমি তখন গুরুদাস কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট । কোএডুকেশন কলেজ , তাই এক দিনও কলেজ কামাই করি না, চোখে স্বপ্ন মনে বসন্ত, যে মেয়েকেই দেখি তাকেই কেমন যেন ভালো লেগে যায় । নিজের কলেজের ফিস আর হাত খরচের জন্য একটা টিউশন জোগার করে নিয়েছি কোলে ব্যারাকের একটি বাড়িতে রোজ সন্ধায় দু ঘন্টা ...যাই হোক হটাৎ এক দিন মনে হলো গীটার শিখবো, কিনে ফেললাম একটা গীটার .। ভর্তি হলাম একটা গীটার ক্লাসে , টিউশন সেরে সোজা চলে যেতাম ক্লাসে , পাশেই আমার বন্ধুর বাড়ি ওর বাড়ির রকে গল্প করতাম দুজনে যতক্ষণ আমার ডাক না পরতো । সপ্তাহে তিন দিন , গীটার শিখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১১ টা বেজে যেতো । . আমার আগে একটি মেয়ে
শিখতো , তার পরেই আমি । এক দিন টিউশন শেষে ছাত্রের মা বৌদি রান্না ঘরে , আমি কথা বলছি হটাৎ খুব সুরেলা মিষ্টি একটি ডাক......
কাকিমা ..আমি তাকিয়ে দেখি আমার গীটার ক্লাসের সেই মেয়েটি ।
ঝক ঝকে একটি মেয়ে নিজের গায়ের রঙের সাথে ম্যাচ করে একটি হালকা
রঙের শাড়ি পরা, সুন্দর করে চুল বাঁধা,
ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের ছোঁয়া, কপালে লাল কুমকুমের টিপ ।
বউদি পরিচয় করিয়ে দিলো, টুটু ভালো নাম মমতা ,আমাদের সামনের বাড়িতেই থাকে । আমার কথা বলতে যেতেই আবার সেই সেতারের সপ্ত সুর বেজে উঠলো , চেনাতে হবে না চিনি, নামও জানি আমাদের গীটার ক্লাসে আমার পরেই গীটার শেখে ।
তার পর থেকে রোজই আমি যখন পরিয়ে রান্না ঘরে যাই দেখি টুটু খুব সুন্দর সেজে বৌদির সাথে গল্প করছে। কেটে যায় দিন । আমার কেমন জানি নেশার মত সন্ধ্যা হলেই ওকে দেখার জন্য মনটা ছট ফট করতো । এক দিনও টিউশন কামাই করতাম না । এক দিন গীটারের ক্লাসে গিয়ে দেখি ক্লাস বন্ধ মাস্টার মশাই আসেন নি । তাই আনমনে হাটতে হাটতে বাড়ি ফিরছিলাম , হটাৎ পেছন থেকে জামায় এক টান পরতেই দাড়িতে গেলাম ,
পেছন ফিরে দেখি টুটু, সেই সুন্দর করে সাজা মিষ্টি মেয়েটি আমাকে বলল ...আপনারতো খুব ডাট দেখছি, আজ পর্যন্ত আমার সাথে একটা কথাও বলতে পারলেন না ? আমি তখন কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না , আমাকে হাত ধরে হির হির করে টানতে টানতে একটা ট্যাক্সিতে বসিয়ে বললো আজ আপনি দু ঘন্টা আমার সাথে থাকবেন । সেই শুরু....
বড় লোকের মেয়ে, বাবা প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার ভাই জার্মানিতে পড়াশোনা করে ।
এর পর থেকে রোজই দেখা হতো বৌদির বাড়িতে । ঘুরে বেড়াতাম কখনো হেটে কখনো ট্যাক্সিতে ..ও অনর্গল কথা বলে যেতো আমি শুনতাম , আস্তে আস্তে কখন যে দুজনের ভালো লাগা ভালবাসা হয়ে গেছে বুঝতেও পারিনি । ট্যাক্সির
পেছনের সিট,সুভাস সরোবরের আধা অন্ধকার বা সিনেমা হল আমাদের
ভালবাসার সাক্ষী হয়ে থাকতো।বেশ কিছু দিন বাদে হটাৎ বৌদির বাড়িতে টুটুকে দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করতে বৌদি বলল ..ও আর আসবে না,
আমি অবাক হয়ে বললাম কেন ? শুনলাম ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে খুব বড়
লোক ঘরের সুন্দর একটি ছেলের সাথে । পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে
গেলো আমার , বুকের মধ্য থেকে এক দলা কান্না আমার নিঃশ্বাস বন্ধ
করে দিচ্ছিল ...পরের দিন বৌদির বাড়ি যাওয়ার পথে দেখি ও দাড়িয়ে আছে ,
বলল আজ ও বাড়িতে যেতে হবে না যেখানে আমি আর যাব না সেখানে
আপনি আর যেতে পারবেন ? ..আমরা দুজনে সুভাস সরোবরের যেখানে জলের ধারে বসতাম..সেখানে বসলাম ..ও আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মুখ গুজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো, আমার সারা মুখে চুমু খেতে খেতে বললো ..কাল থেকে আর দেখা হবে না, সংসারের নিয়মকে মেনে নিতেই হলো ।
কিন্তু আপনাকে ভুলবো না কোনো দিন। ....আমিও তার পরেই বৌদির
বাড়ির টিউশন ছেড়ে দিয়েছিলাম। ......তার পর কত দিন ..কত বছর
কেটে গেলো , কোথায় আছে কোন খোঁজ করিনি ...আজ হটাৎ মনে পরে
গেলো , সেই পেছন থেকে শার্টে টান...আর চোখ বড় বড় করে টুটুর সেই
কথা ....খুব ডাট আপনার না ?
দেখলেও কথা বলেন না কেন ? ...........
 
Top