আমাদের ছোট বয়েসে দিদিমা ঠাকুমার কাছে রূপকথার গল্প আর ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শুনে বড় হয়েছি।সব মজার মজার গল্প আজ সব হারিয়ে গিয়েছে। আজকালকার বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঠাকুরমার ঝুলি গল্পের নামই শোনেনি। আমি এখানে ঠাকুরমার ঝুলির একটা গল্প " কুঁজোবুড়ি" কে আমার মত করে ছন্দবদ্ধ কবিতার আকারে পেশ করছি।
+++ কুঁজো বুড়ি +++
কুঁজো বুড়ি খুবই বুড়ি
তার ছিল তিন কুকুর,
একটা ভিটে দু ছটাক
জমি আর একটা পুকুর।
কুকুর তিনটে বুড়ির
প্রিয়, নাম রঙা বঙা ভুতো,
অনেক দূরে থাকে এক
নাতনি আপন নয় তুতো।
নাতনির ডাকে চললো বুড়ি
ঠুক ঠুকিয়ে হাতের লাঠি,
বনের মাঝে চলছে বুড়ি
আস্তে আস্তে হাটি হাটি।
হটাত দেখে সামনে এক
শিয়াল এসে দাঁড়ায়,
খাবো তোকে এই বলে
হিংস্র থাবা বাড়ায়।
বুড়ি বলে দাঁড়াও দাঁড়াও
কেন খাবে এখন,
খেও তখন মোটা হয়ে
আসবো ফিরে যখন।
চললো বুড়ি বনের মাঝে
নেইকো চলার থামা,
হটাত দেখে সামনে এক
বিশাল বাঘ মামা।
খুধার্থ বাঘ হেসে বলে
এই বুড়ি তোকে এবার খাবো,
তোকে খেয়ে এখন আমি
মাসির বাড়ি যাবো।
বুড়ি বলে দেখো মামা
এখন ছেড়ে দাও,
মোটা হয়ে ফিরি আগে
তখন আমায় খাও।
নাতনির বাড়ি গিয়ে বুড়ি
মন্ডা মিঠাই খেলো,
শুটকি বুড়ি কয়েক দিনেই
মুটকি বুড়ি হলো।
এবার তো ফেরার পালা
প্রথমেই বাঘ মামা,
নাতনি বলে ঘাবড়াও মত
আমার ফোকলা মিষ্টি দিমা।
লাওয়ের খোলায় ঢুকে বুড়ি
বাঘ মামাকে ঠকায়,
শেয়াল বেটা অতি চালাক
বোঝে বুড়ি আছে কোথায়।
ভেঙে দিয়ে লাওয়ের খোলা
হি হি করে হাসে,
মোটা বুড়ির মাংস দেখে
জিভে জল আসে।
বুড়ি তখন ভয়ের চোটে
কোনো একটা ফাঁকে,
চিৎকার করে নিজের
বাড়ির কুকুর দের ডাকে।
আয় আয় তুতু
আমার রঙা বঙা ভুতু।
কুকুরদের দেখেই শিয়াল
এক মুহুর্তে হাওয়া,
আগেতো প্রান বাঁচা
মাথায় থাকুক খাওয়া।
খুশি বুড়ি কুকুর নিয়ে
বাড়ি ফিরে গেলো,
এখানেই আমার গল্প বলার
নটে গাছটি মুড়োলো।
*****************
+++ কুঁজো বুড়ি +++
কুঁজো বুড়ি খুবই বুড়ি
তার ছিল তিন কুকুর,
একটা ভিটে দু ছটাক
জমি আর একটা পুকুর।
কুকুর তিনটে বুড়ির
প্রিয়, নাম রঙা বঙা ভুতো,
অনেক দূরে থাকে এক
নাতনি আপন নয় তুতো।
নাতনির ডাকে চললো বুড়ি
ঠুক ঠুকিয়ে হাতের লাঠি,
বনের মাঝে চলছে বুড়ি
আস্তে আস্তে হাটি হাটি।
হটাত দেখে সামনে এক
শিয়াল এসে দাঁড়ায়,
খাবো তোকে এই বলে
হিংস্র থাবা বাড়ায়।
বুড়ি বলে দাঁড়াও দাঁড়াও
কেন খাবে এখন,
খেও তখন মোটা হয়ে
আসবো ফিরে যখন।
চললো বুড়ি বনের মাঝে
নেইকো চলার থামা,
হটাত দেখে সামনে এক
বিশাল বাঘ মামা।
খুধার্থ বাঘ হেসে বলে
এই বুড়ি তোকে এবার খাবো,
তোকে খেয়ে এখন আমি
মাসির বাড়ি যাবো।
বুড়ি বলে দেখো মামা
এখন ছেড়ে দাও,
মোটা হয়ে ফিরি আগে
তখন আমায় খাও।
নাতনির বাড়ি গিয়ে বুড়ি
মন্ডা মিঠাই খেলো,
শুটকি বুড়ি কয়েক দিনেই
মুটকি বুড়ি হলো।
এবার তো ফেরার পালা
প্রথমেই বাঘ মামা,
নাতনি বলে ঘাবড়াও মত
আমার ফোকলা মিষ্টি দিমা।
লাওয়ের খোলায় ঢুকে বুড়ি
বাঘ মামাকে ঠকায়,
শেয়াল বেটা অতি চালাক
বোঝে বুড়ি আছে কোথায়।
ভেঙে দিয়ে লাওয়ের খোলা
হি হি করে হাসে,
মোটা বুড়ির মাংস দেখে
জিভে জল আসে।
বুড়ি তখন ভয়ের চোটে
কোনো একটা ফাঁকে,
চিৎকার করে নিজের
বাড়ির কুকুর দের ডাকে।
আয় আয় তুতু
আমার রঙা বঙা ভুতু।
কুকুরদের দেখেই শিয়াল
এক মুহুর্তে হাওয়া,
আগেতো প্রান বাঁচা
মাথায় থাকুক খাওয়া।
খুশি বুড়ি কুকুর নিয়ে
বাড়ি ফিরে গেলো,
এখানেই আমার গল্প বলার
নটে গাছটি মুড়োলো।
*****************