হাতে পেন্সিল ধরি নি বহুদিন। হাত দিয়ে হাতদুটোও ধরা হয়ে ওঠে নি। তাতে কি ইচ্ছে থেমে ছিল কখনও। না পারতেও, পারব না জেনেও তো আমরা কত কিছুরই চেষ্টা করি। হোকনা সেটা হাতে হাত ধরা কিংবা পেন্সিল। ভালবাসলে অনেক না পারা কাজ পারব না জেনেও করতে হয়। একেই হয়তো ভালবাসা বলে।
আকাশে চাঁদ ছিল কি না জানি না, আজ রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখা হয় নি। জানি না আজকের শহরের শেষ খবর কি? মোড়ের চায়ের দোকানে আজ রাতে খদ্দের কতজন ছিল, আর কয়টাকার বাকী নিয়ে দোকানি দোকান গুটালো জানা হয় নি। জানা হয় নি আজ তারাগুলো মেঘের আড়ালে ছিল? নাকি জলছিল টিমটিম করে। আমি যদি পারতাম, তবে জোনাকি হতাম। মাথার বালিশের উপর মেলে দেয়া চুলগুলোতে মিশে থাকতাম রাত হলেই। টিমটিমিয়ে জ্বলতাম, পাহারা দিতাম। ঘুম এলে ঘুমাতাম, কিন্তু সাথেই থাকতাম। ডীমলাইট এর আকাল পড়েছে। লোড শেডিং বা অমাবস্যায় ও মিষ্টি আলো থাকতো তোমার কপাল জুড়ে। দুঃস্বপ্নগুলোকে ভয় দেখিয়ে তাড়াতে পারতাম।
আমি যদি পারতাম, তবে মেঘ হতাম। ভারী ঘন কালো মেঘ না। আরও দু মাস পর আসবে এমন শরতের সাদা পেঁজাতুলোর মত নরম মেঘ, রাজহাঁসের বুকের পালকের মত মসৃণ। তোমাকে সেই মেঘের উপর ঘুম পাড়িয়ে নিয়ে যেতাম আরেকটু উপরে। যেখানে হঠাৎ কোনও শব্দ পৌছায় না। অজানা কোনও চাপা গরমে শরীরের ভাজগুলো ঘামে ভিজে অস্বস্তির জন্ম দেয় না। যেখানে বাতাস থাকে সবসময়। রাতে ফোঁটা বেলীর দু একটা কলি বাতাসে ভাসিয়ে নিয়ে রাখতাম মাথার কাছেই। ভালবাসার সব উপকরণই সস্তা এবং হাতের নাগালেই থাকে। রেসিপিটাও সহজ কিন্তু সবাই জানে না। আর সর্বশেষে পরিবেশনটা অমূল্য হয়েই ধরা দেয়।
যদি তাপমাত্রা কমে যেত, চাঁদটাকে আরেকটু কাছে টেনে আনতাম, ঠিক মাথার উপরেই। বাসি হয়ে আসা সূর্যের আলো চাঁদের চালুনিতে ছেঁকে তোমার উপর ছড়িয়ে দিতাম, চাদর নেবার দরকার কি? নিজেকে দিয়েই ঢেকে রাখতাম।
এরকম একটা গল্প বললে কেমন খাপছাড়া মনে হয়। তাই মাথায় জন্মানো রূপকথা কাগজে কলমে বাস্তবায়নের একটু ইচ্ছা হলেও, আমার গন্ডি খুবই সীমিত। তোমার মাঝেই সীমাবদ্ধ। মুখ বানাতেই রাত কাবার। হাত আঁকার যোগ্যতা নেই। হাত ধরার সুযোগ নেই। হাতে পেন্সিল ভাল খেলে না। হাতে হাত ধরা দেয় না।
"মেঘের উপর ঘুমিয়ে তুমি, গায়ে তোমার জ্যোৎস্নার চাদর" কথাটা যত সহজে ভাবতে পারি, যেমন করে লিখতে পারি, তেমন করে আঁকতে পারি নি পুরো এক রাতের চেষ্টায় ও। অসম্পূর্ণ থাকুক কাগজে কলমে অবাস্তব ভালবাসা। কল্পনাতেই পূর্ণতা পাক আমাদের রূপকথা।
আকাশে চাঁদ ছিল কি না জানি না, আজ রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখা হয় নি। জানি না আজকের শহরের শেষ খবর কি? মোড়ের চায়ের দোকানে আজ রাতে খদ্দের কতজন ছিল, আর কয়টাকার বাকী নিয়ে দোকানি দোকান গুটালো জানা হয় নি। জানা হয় নি আজ তারাগুলো মেঘের আড়ালে ছিল? নাকি জলছিল টিমটিম করে। আমি যদি পারতাম, তবে জোনাকি হতাম। মাথার বালিশের উপর মেলে দেয়া চুলগুলোতে মিশে থাকতাম রাত হলেই। টিমটিমিয়ে জ্বলতাম, পাহারা দিতাম। ঘুম এলে ঘুমাতাম, কিন্তু সাথেই থাকতাম। ডীমলাইট এর আকাল পড়েছে। লোড শেডিং বা অমাবস্যায় ও মিষ্টি আলো থাকতো তোমার কপাল জুড়ে। দুঃস্বপ্নগুলোকে ভয় দেখিয়ে তাড়াতে পারতাম।
আমি যদি পারতাম, তবে মেঘ হতাম। ভারী ঘন কালো মেঘ না। আরও দু মাস পর আসবে এমন শরতের সাদা পেঁজাতুলোর মত নরম মেঘ, রাজহাঁসের বুকের পালকের মত মসৃণ। তোমাকে সেই মেঘের উপর ঘুম পাড়িয়ে নিয়ে যেতাম আরেকটু উপরে। যেখানে হঠাৎ কোনও শব্দ পৌছায় না। অজানা কোনও চাপা গরমে শরীরের ভাজগুলো ঘামে ভিজে অস্বস্তির জন্ম দেয় না। যেখানে বাতাস থাকে সবসময়। রাতে ফোঁটা বেলীর দু একটা কলি বাতাসে ভাসিয়ে নিয়ে রাখতাম মাথার কাছেই। ভালবাসার সব উপকরণই সস্তা এবং হাতের নাগালেই থাকে। রেসিপিটাও সহজ কিন্তু সবাই জানে না। আর সর্বশেষে পরিবেশনটা অমূল্য হয়েই ধরা দেয়।
যদি তাপমাত্রা কমে যেত, চাঁদটাকে আরেকটু কাছে টেনে আনতাম, ঠিক মাথার উপরেই। বাসি হয়ে আসা সূর্যের আলো চাঁদের চালুনিতে ছেঁকে তোমার উপর ছড়িয়ে দিতাম, চাদর নেবার দরকার কি? নিজেকে দিয়েই ঢেকে রাখতাম।
এরকম একটা গল্প বললে কেমন খাপছাড়া মনে হয়। তাই মাথায় জন্মানো রূপকথা কাগজে কলমে বাস্তবায়নের একটু ইচ্ছা হলেও, আমার গন্ডি খুবই সীমিত। তোমার মাঝেই সীমাবদ্ধ। মুখ বানাতেই রাত কাবার। হাত আঁকার যোগ্যতা নেই। হাত ধরার সুযোগ নেই। হাতে পেন্সিল ভাল খেলে না। হাতে হাত ধরা দেয় না।
"মেঘের উপর ঘুমিয়ে তুমি, গায়ে তোমার জ্যোৎস্নার চাদর" কথাটা যত সহজে ভাবতে পারি, যেমন করে লিখতে পারি, তেমন করে আঁকতে পারি নি পুরো এক রাতের চেষ্টায় ও। অসম্পূর্ণ থাকুক কাগজে কলমে অবাস্তব ভালবাসা। কল্পনাতেই পূর্ণতা পাক আমাদের রূপকথা।