গল্প:- *দোলাবৌদির_সাথে_নির্জনে*
(*কঠোরভাবে_প্রাপ্তবয়স্কদের_জন্য*)
দুপুরে খেয়েদেয়ে শোয়ার তোড়জোড় করছিলাম। হঠাৎ দোলা বৌদির ফোন, "অ্যাই ঠাকুরপো, লাগাবো!"
আচমকা এমন বেমক্কা আবদারে বিছানা থেকে উল্টে পড়ে যাচ্ছিলাম। সামলে নিয়ে বললাম, "ম..মানে?!"
-"মানেটা খুব স্পষ্ট ঠাকুরপো। আমরা দুজনে মিলে লাগাবো।"
লজ্জা পেয়ে বললাম, "কিন্তু বৌদি, এগুলো কি ঠিক হবে? সামনের মাসেই আমার বিয়ে।"
-"তো কি হয়েছে তাতে? ভুলে যেও না, আমিও বিবাহিতা। কারো মিষ্টি বৌ, কারো দুষ্টু বৌদি। হি হি হি হি!"
-"কিন্তু দাদা থাকতে আবার আমাকে কষ্ট দেওয়া কেন?"
-"ধুর! তোমার দাদা ঠিক করে লাগাতে পারে না। প্রায়শই নেতিয়ে পড়ে।"
-"খুবই দুঃখজনক। কিন্তু আমি গেলে দাদা আবার রাগ করবে না তো?"
-"তোমার দাদা এখন বাড়িতে নেই। জানতেই পারবে না। এই সুযোগ। তাড়াতাড়ি এসো। প্লিইইজজ...!"
বৌদির এমন মোহময়ী ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য কি। অগত্যা জামাটা গায়ে গলিয়েই ঝটপট তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
কলিং বেল বাজাতেই "ছমক ছমক" নূপুর ধ্বনি তুলে বৌদি এসে দরজা খুলে দিলো। গোলাপি, ফিনফিনে, স্লিভলেস, সুতির নাইটিতে বৌদিকে লাস্যময়ী লাগছিলো। লাল টুকটুকে গাল দুটো যেন ডাঁসা কাশ্মীরী আপেল। ঠোঁট দুটো তার কমলা লেবুর কোয়া। ঘামে সিক্ত আবেদনময়ী শরীর।
আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম। বৌদি আমার গালে আলতো করে আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে বললো, "এতো দেরি করে আসতে হয়, দুষ্টু!"
-"না মানে, জামা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।"
-"এমনিই আসতে।" দুষ্টু হেসে বৌদি বললো, "আমার কাছে আবার লজ্জা কিসের। হি হি হি হি!"
লজ্জায় কান দুটো লাল হয়ে গেল। ঢোঁক গিলে বললাম, "ইয়ে মানে, আমি কিন্তু কোনো প্রোটেকশন আনিনি।"
-"ছাড়ো তো! আমার কাছে প্রোটেকশন আগে থেকেই কেনা আছে। শুধু তোমাকে চাই, নটি বয়। নাও, এখন চলো বাগানে।"
-"বাগানে গিয়ে কি হবে বৌদি?"
-"কেন! লাগাবো।"
-"সব্বোনাশ! বাগানে কেউ যদি দেখে ফেলে?"
-"দেখলেও বা! তুমি কি আমার পর?"
এই বলে বৌদি আমার হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে বাগানে চলে এল। তারপর বললো, "নাও, এবার লাগাও।"
লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছিলো। কোনো রকমে বললাম, "পারবো না। পারবো না আমি বৌদি। এভাবে খোলা আকাশের নীচে নিজের মান সম্মান বিসর্জন দিতে আমি পারবো না।"
-"মান সন্মান বিসর্জন মানে?" বৌদি যেন আকাশ থেকে পড়লো, "ওরে মাথামোটা, ওই যে কোদাল, শাবল পড়ে আছে। চটপট মাটি খুঁড়ে এই গাছের চারা গুলো লাগিয়ে ফেলো।"
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। বললাম, "তুমি এতক্ষণ গাছের চারা লাগানোর কথা বলছিলে?"
-"নয়তো কি? সামনেই ৫ ই জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবেশ রক্ষার্থে গাছ লাগানো আমাদের কর্তব্য। তাই তোমাকে ডাকা।"
-"তবে যে বলেছিলে, দাদার নেতিয়ে পড়ে আর তোমার কাছে প্রোটেকশন কেনা আছে!!"
-"আরে তোমার দাদার হাতে গাছপালা ভালো হয় না। লাগানোর পরদিনই নেতিয়ে পড়ে। মানে মারা যায়। আর প্রোটেকশন মানে সার। আমার কেনা আছে। গাছগুলো লাগানোর পর ভালো করে ছড়িয়ে দিয়ো। নাও, তাড়াতাড়ি লাগাও।"
হ্যাঁ, দোলা বৌদি তো বুঝেছেন। আপনি কবে বুঝবেন?
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ একান্ত প্রয়োজন। তাই কাল বিলম্ব না করে বৃক্ষরোপণ করুন।
একটি গাছ, একটি প্রাণ।
গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান।
(*কঠোরভাবে_প্রাপ্তবয়স্কদের_জন্য*)
দুপুরে খেয়েদেয়ে শোয়ার তোড়জোড় করছিলাম। হঠাৎ দোলা বৌদির ফোন, "অ্যাই ঠাকুরপো, লাগাবো!"
আচমকা এমন বেমক্কা আবদারে বিছানা থেকে উল্টে পড়ে যাচ্ছিলাম। সামলে নিয়ে বললাম, "ম..মানে?!"
-"মানেটা খুব স্পষ্ট ঠাকুরপো। আমরা দুজনে মিলে লাগাবো।"
লজ্জা পেয়ে বললাম, "কিন্তু বৌদি, এগুলো কি ঠিক হবে? সামনের মাসেই আমার বিয়ে।"
-"তো কি হয়েছে তাতে? ভুলে যেও না, আমিও বিবাহিতা। কারো মিষ্টি বৌ, কারো দুষ্টু বৌদি। হি হি হি হি!"
-"কিন্তু দাদা থাকতে আবার আমাকে কষ্ট দেওয়া কেন?"
-"ধুর! তোমার দাদা ঠিক করে লাগাতে পারে না। প্রায়শই নেতিয়ে পড়ে।"
-"খুবই দুঃখজনক। কিন্তু আমি গেলে দাদা আবার রাগ করবে না তো?"
-"তোমার দাদা এখন বাড়িতে নেই। জানতেই পারবে না। এই সুযোগ। তাড়াতাড়ি এসো। প্লিইইজজ...!"
বৌদির এমন মোহময়ী ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য কি। অগত্যা জামাটা গায়ে গলিয়েই ঝটপট তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
কলিং বেল বাজাতেই "ছমক ছমক" নূপুর ধ্বনি তুলে বৌদি এসে দরজা খুলে দিলো। গোলাপি, ফিনফিনে, স্লিভলেস, সুতির নাইটিতে বৌদিকে লাস্যময়ী লাগছিলো। লাল টুকটুকে গাল দুটো যেন ডাঁসা কাশ্মীরী আপেল। ঠোঁট দুটো তার কমলা লেবুর কোয়া। ঘামে সিক্ত আবেদনময়ী শরীর।
আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম। বৌদি আমার গালে আলতো করে আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে বললো, "এতো দেরি করে আসতে হয়, দুষ্টু!"
-"না মানে, জামা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।"
-"এমনিই আসতে।" দুষ্টু হেসে বৌদি বললো, "আমার কাছে আবার লজ্জা কিসের। হি হি হি হি!"
লজ্জায় কান দুটো লাল হয়ে গেল। ঢোঁক গিলে বললাম, "ইয়ে মানে, আমি কিন্তু কোনো প্রোটেকশন আনিনি।"
-"ছাড়ো তো! আমার কাছে প্রোটেকশন আগে থেকেই কেনা আছে। শুধু তোমাকে চাই, নটি বয়। নাও, এখন চলো বাগানে।"
-"বাগানে গিয়ে কি হবে বৌদি?"
-"কেন! লাগাবো।"
-"সব্বোনাশ! বাগানে কেউ যদি দেখে ফেলে?"
-"দেখলেও বা! তুমি কি আমার পর?"
এই বলে বৌদি আমার হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে বাগানে চলে এল। তারপর বললো, "নাও, এবার লাগাও।"
লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছিলো। কোনো রকমে বললাম, "পারবো না। পারবো না আমি বৌদি। এভাবে খোলা আকাশের নীচে নিজের মান সম্মান বিসর্জন দিতে আমি পারবো না।"
-"মান সন্মান বিসর্জন মানে?" বৌদি যেন আকাশ থেকে পড়লো, "ওরে মাথামোটা, ওই যে কোদাল, শাবল পড়ে আছে। চটপট মাটি খুঁড়ে এই গাছের চারা গুলো লাগিয়ে ফেলো।"
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। বললাম, "তুমি এতক্ষণ গাছের চারা লাগানোর কথা বলছিলে?"
-"নয়তো কি? সামনেই ৫ ই জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবেশ রক্ষার্থে গাছ লাগানো আমাদের কর্তব্য। তাই তোমাকে ডাকা।"
-"তবে যে বলেছিলে, দাদার নেতিয়ে পড়ে আর তোমার কাছে প্রোটেকশন কেনা আছে!!"
-"আরে তোমার দাদার হাতে গাছপালা ভালো হয় না। লাগানোর পরদিনই নেতিয়ে পড়ে। মানে মারা যায়। আর প্রোটেকশন মানে সার। আমার কেনা আছে। গাছগুলো লাগানোর পর ভালো করে ছড়িয়ে দিয়ো। নাও, তাড়াতাড়ি লাগাও।"
হ্যাঁ, দোলা বৌদি তো বুঝেছেন। আপনি কবে বুঝবেন?
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ একান্ত প্রয়োজন। তাই কাল বিলম্ব না করে বৃক্ষরোপণ করুন।
একটি গাছ, একটি প্রাণ।
গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান।